স্পোর্টস ডেস্ক:: আগেই পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মুলতান। এবার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নিজের দল পেশোয়ার জালমি টিকিয়ে রাখলেন অধিনায়ক রিজওয়ান। এলিমিনেটর ম্যাচে তার হাফ সেঞ্চুরিতেই জিতেছে দল। পিএসএল থেকে বিদায় হয়েছে ইসলামাবাদের।
পিএসএলের প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে পেশোয়ার জালমি আগে ব্যাট করে ১৮৩ রান তুলে ছিলো। জবাবে খেলতে নামা ইসালামাবাদ ইউনাইটেড পেশোয়ারের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৭১ রান তুলতে সমর্থ হয়। ১২ রানের জয়ে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে থাকলো পেশোয়ার। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়ার লাহোরের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি খেলবে তারা।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াটেস টস হেরে ব্যাট করতে নামে পেশোয়ার। দুই ওপেনার সিয়াম আয়ুব ও বাবর আজমের ব্যাটে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় দলটি। দুই ওপেনার শুরুটা করেন রীতিমতো ‘বিস্ফোরক’। ৪.৪ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতেই ফিফটি পার করে দল। আয়ুবের বিদায়ে ভাঙে তাদের উদ্বোধনী জুটি। মাত্র ১৬ বলে ২৩ রান করেন এই ওপেনার। পাঁচ চারে সাজান নিজের ইনিংসটি।
সঙ্গী ওপেনার ফিরে গেলেও বাবর আজম ব্যাট হাতে অবিচল থাকেন। তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি। তার ব্যাটে চড়েই চ্যালেঞ্জিং পূঁজি পায় দল। ১৬৪’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ৬৪ রান করেন অধিনায়ক নিজে। ৩৯ বলের ইনিংসে বাউন্ডারি হাঁকান ১০টি। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন মোহাম্মদ হারিস। তাতেই পেশোয়ার ৮ উইকেটে ১৮৩ রান তুলে ফেলে।
ইসলামাবাদের হয়ে শাদাব খান ২টি উইকেট লাভ করেন।
১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে খেলতে নামা ইসলামাবাদ শুরুতে উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফিরে যান দলীয় ১৩ রানেই। ৭ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১০ রান করেন তিনি।
দ্বিতীয় উইকেটে অ্যালেক্স হেলস ও শুয়াইব মাসুদ ১১৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান। তবে এই দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ানের বিদায়ে টুর্নামেন্ট থেকেও বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইসলামাবাদের। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন শুয়াইব মাসুদ। ৪৮ বলে সাতটি চার ও দু’টি ছক্কায় সাজার নিজের ইনিংসটি। আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান ওপেনাল হেলস করেন ৫৭ রান। ৩৭ বলের ইনিংসে তিনিও সাতটি চার ও দু’টি করে ছক্কা হাঁকান।
শেষ দিকে অধিনায়ক শাদাব খান ২০০’র বেশি স্ট্রাইক রেটে খেললেও দলের হার এড়াতে পারেননি। তিন চার ও এক ছক্কায় ১২ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার দল থেমে যায় ৬ উইকেটে ১৭১ রানে।
পেশোয়ারের হয়ে সালমান ও জামাল ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post