নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ব্যাটিংয়ে আরও একবার নিজেদের অসহায়ত্ব দেখাল সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপিএলে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে মাঝারি সংগ্রহের পুঁজি পেয়েছে সিলেট। ঘরের মাঠ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট ১৪২ রান স্কোরবোর্ডে তুলেছে স্ট্রাইকার্সরা।
যার কৃতিত্ব অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের। ফিফটি হাঁকিয়ে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছেন এই ব্যাটার। ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন আরিফুল হক। তাদের সাথে মিডল অর্ডারে সঙ্গ দিয়েছেন সামিত প্যাটেল। এতেই শুরুর দুর্দশা কাটিয়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে সিলেট। জিততে হলে ঢাকাকে করতে হবে ১৪৩ রান।
লাক্কাতুরার ২২ গজে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই শরিফুল ইসলামের পেস তোপে টপ অর্ডার ভেঙে পড়ে সিলেটের। একে একে ফিরেন শামসুর রহমান শুভ (গোল্ডেন ডাক), নাজমুল হোসেন শান্ত (১২ বলে ৩ রান) ও জাকির হাসান (গোল্ডেন ডাক)। এর মাঝে চতুর্থ ওভারে টানা দুই বলে শান্ত ও জাকিরকে বোল্ড আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান শরিফুল। তবে এক আসরে দুই বার হ্যাটট্রিক হয়নি আর শেষ পর্যন্ত।
১৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলকে চতুর্থ উইকেটে সামিত প্যাটেল ও অধিনায়ক মিঠুন মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। ৩২ রান করে সামিত বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর উইকেটে এসে রায়ান বার্ল, বেনি হাওয়েলরা সুবিধা করতে পারেননি। তবে উইকেটে এসে ৯ বলে ৩ ছক্কায় ২১ রানের ক্যামিও খেলে ফিরেন আরিফুল হক।
ইনিংসের একেবারে শেষ ওভারে গিয়ে আউট হন অধিনায়ক মিঠুন। তবে এর আগে দলের পক্ষে ৪৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৫৯ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে যান। তার ১২৮’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে সহায়তা করে।
ঢাকার হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন শরিফুল ইসলাম। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন এই বাঁহাতি পেসার। ১ উইকেট পেলেও, ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করেছেন তাসকিন আহমেদ। আরাফাত সানী ২৩ রানে ২ উইকেট লাভ করেছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post