স্পোর্টস ডেস্কঃ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বৃহস্পতিবার রাতে পাঞ্জাব কিংসের মুখোমুখি হয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। মোহালিতে সেই ম্যাচে এক বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে গুজরাট। এই ম্যাচে গুজরাটের হয়ে দারুণ বল করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহিত শর্মা।
গুজরাটের জার্সিতে নিজের প্রথম খেলতে নেমে ৪ ওভারে ১৮ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন মোহিত। নিজের প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোভাবেই রাঙিয়েছেন মোহিত। অথচ গেল আসরে অবিক্রিত ছিলেন। নেট বোলার হিসেবে গুজরাট শিবিরে যুক্ত হন। চলতি আসরে ৫০ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যে তাকে দলে নেয় গুজরাট।
কিন্তু এই মোহিত শর্মা ২০১৩ থেকে ২০২০ আইপিএল পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়ান আইপিএলে। এর মধ্যে ২০১৪ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ২৩ উইকেট নিয়ে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন। ভারত জাতীয় দলে সু্যোগ পান, আলো ছড়ান সেখানেও। কিন্তু হুট করে হারিয়ে যান। তবে সেখান থেকে গুজরাট দিয়ে আবারও ফিরেন। নেট বোলার হিসেবে কাজ করেন। এবার মুল দলে। সেক্ষেত্রে গুজরাটের কোচ আশিষ নেহরার অবদান আছে।
পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সেই কঠিন পথের কথা জানিয়েছেন মোহিত। কেউ জানতো না, অন্তত কোনো প্রতিযোগীতামূলক ম্যাচে মোহিত খেলছেন কিনা। একইসাথে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পর ফেরায় ম্যাচে অনেকটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন।
মোহিত বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর ফিরেছি, তাই যেমন রোমাঞ্চিত হওয়ার সাথে কিছুটা স্নায়ুচাপেও ভুগছিলাম। অনেকে তো এটাও জানতো না, আমি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলছি কি না। (আশিষ) নেহরা (সাবেক ক্রিকেটার ও গুজরাট কোচ) আমাকে কল করে দলের সাথে থাকার কথা বলে। এটাও জানায়, কেউ চোট পেলে সুযোগ পাব। আমিও ভেবেছিলাম বাড়িতে থেকে কী করব। তার থেকে দলের সাথে থাকলে প্রতিযোগিতামূলক অনুশীলনে থাকতে পারব।’
মোহিত আরও বলেন, ‘ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে থাকায়, আমাকে কামব্যাক করতে সাহায্য করেছে। নেট বোলার হিসেবে দলের সাথে থাকা খারাপ কিছু না। এটা নির্ভর করে যার যার ব্যক্তিগত ভাবনা-চিন্তার উপর। নেট বোলার হিসেবে দলের সাথে থেকেও নিজেকে পরিণত করা যায়। মূল বোলাররা অনুশীলনে যা করে, নেট বোলাররাও ব্যতিক্রম নয়। তাদেরও সেই সবকিছুই করতে হয়। দলের সাথে থেকে কখনোই আলাদা মনে হয়নি। সবাই মিলে সময়টাকে বেশ উপভোগ করেছি।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post