স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ক্রিকেটে সৌম্য সরকার মানেই চার-ছক্কা। টাইগারদের এই মারমুখী ওপেনারকে শনিবার দেখা গেলো ভিন্নু রূপে। আফগানিস্তান-ইংল্যান্ড সিরিজে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়া সৌম্য সরকার ইংল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে খেললে ধীরলয়ের ইনিংস।
ছিল না সৌম্য সরকারের স্বভাব সূরভ ১০০ স্ট্রাইক রেইট। শনিবার প্রস্তুতি ম্যাচে ৯৬ বল খেলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরলেন স্বেচ্ছায় ‘অবসর’ নিয়ে।
শাহরিয়ার নাফিসকে নিয়ে ওপেনিংয়ে নেমে খেলেছেন টেস্টময় ইনিংস। শাহরিয়ার নাফিস ৭৯ বল খেলে যেখানে ৫১ রান করলেন, সেখানে সৌম্য সরকার ৩৪ রান করতেই খেললেন ৯৬ বল। নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ইংল্যান্ডের করা ১৩৬ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ ৪৪ ওভারে ১৩৬ রান তুলে মাঠ ছাড়ে।
শাহরিয়ার নাফিস ও সৌম্য সরকার যথাক্রমে ৫১ ও ৩৪ রান করে রিটায়ের্ড হন।
শাহরিয়ার নাফিস ও সৌম্য সরকার ফিরে যাবার পর সাব্বির রহমান ৩০ রান করে গ্যারেথ বেটির বলে এলবি’র ফাঁদে এবং একই বোলারের বলে মোসাদ্দেক হোসেন শূন্য রানে আউট হলেও নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে গ্যারেথ বেটি ছাড়া বাকি ছয় বোলার হাত ঘুরিয়েও বাংলাদেশের একটা উইকেটও তুলতে পারেননি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচে ৯ ওভারেই নিজেই নিজেকে যেনো ছাড়িয়ে গেলেন সাব্বির। ২৭ রান দিয়ে বিসিবি একাদশের অধিনায়ক নিলেন তিন উইকেট। ইংল্যান্ডের উইকেট পড়েছে ওই তিনটিই।
ইনিংসের ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাব্বির। তবে প্রথম ওভারে সুবিধা করতে পারেননি। ওই ওভারে দিয়ে বসেন ১১ রান। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারেও বেশ খরুচে বোলিং করেছেন তিনি। ইনিংসের ১৯তম ওভার অর্থাৎ নিজের তৃতীয় ওভারে মাত্র দুই রান দিয়ে এলবির ফাঁদে ফেলেন ইংল্যান্ড দলের প্রধান ব্যাটসম্যান জো রুটকে।পরে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের শুরুতেই জুনিয়র জিওফ বয়কট বলে পরিচিত পাওয়া হাসিব হামিদ ও মঈন আলীকে।
ইনিংসে বিসিবি একাদশের হয়ে মোট আটজন বোলার হাত ঘুরালেও উইকেট পেয়েছেন ওই সাব্বিরই।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জো রুটের নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড। তারা নির্ধারিত ৪৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলে। ওয়ানডে সিরিজের মতো প্রস্তুতি ম্যাচেও রানের ধারায় ছিলেন বাংলাদেশেই অভিষিক্ত বেন ডাকেট। তিনি ওয়ানডে মেজাজে ৬৩ বলে ৫৯ রান করে স্বেচ্চায় অবসরে যান। অন্যদিকে টেস্টে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা আরেক ব্যাটসম্যান হাসিব হামিদ ছিলেন বেশ সতর্ক। ৫৬ বল খেলে মাত্র ১৬ রান করে নুরুল হাসানকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। এছাড়া অন্যদের মধ্যে জো রুট ২, মঈন আলী ২৪, গ্যারি ব্যালেন্স ২৭ এবং জনি বেয়ারস্টো ২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
এই প্রস্তুতি ম্যাচে সাব্বির রহমানের নেতৃত্বে বিসিবি একাদশের পক্ষে খেলেছেন সৌম্য সরকার, শাহরিয়ার নাফিস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন, শুভাগত হোম চৌধুরী, নুরুল হাসান, রুবেল হোসেন, কামরুল হাসান রাব্বি, আবু জাহেদ রাহি ও এবাদত হোসেন।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন জো রুট, মঈন আলী, জাফর আনসারি, জনি বাইরোস্ট, গ্যারি ব্যালেন্স, জেক বল, গ্যারেথ বেটি, স্টুয়ার্ড ব্রড, বেন ডাককেট, স্টিভেন ফিন, হাসিব হামিদ ও আদিল রশিদ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টডিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/বা/০০