নিজস্ব প্রতিবেদক:: অনভিজ্ঞ, দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয়ে সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তরুণ ওপেনার তানজিদ তামিমের হাফ সেঞ্চুরিতে সফরকারীদের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেট টপকাতে বড় পরীক্ষায় পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে।
সাগরিকায় বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে দু’দফা বৃষ্টি আঘাত হানলেও খুব বড় সমস্যা হয়নি। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হয়েছে। তামিম-হৃদয়ের ব্যাটে হেসেখেলেই বাংলাদেশ আট উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে।
১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৫ রানের মাথায় লিটন দাসের উইকেট হারায়। তিন বলে এক রানে সাজঘরে ফিরেন এই ওপেনার। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা নাজমুল হোসেন শান্তও ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনিও ফিরেন সাজঘরে। এক বাউন্ডারিতে ২৪ বলে করেন ২১ রান।
তৃতীয় উইকেটে তানজিদ তামিম হৃদয়কে নিয়ে গড়েন জুটি। দু’জনের অবিচ্ছিন্ন জুটি বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে। আট চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। পাঁচ চার ও এক ছয়ে ১৮ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।
জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি ও লুক জুঙ্গে একটি করে উইকেট লাভ করেন। এর আগে সাগরিকায় বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পরও জিম্বাবুয়ে ১২৪ রান তুলে অলআউট হয়।
টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। ব্যাট করতে নামা সফরকারীদের শুরু থেকেই চেপে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের দলীয় ৮ রানের মাথায় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড আউট করেন মেহদী হাসান। রানের খাতা খুলতে পারেননি এই ওপেনার।
দ্বিতীয় উইকেটের জন্যও খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে দলীয় ওপেনার গাম্বিকে ফিরিয়ে প্রত্যাবর্তনের উইকেট তুলে নেন সাইফুদ্দিন। চার চারে ১৪ বলে ১৭ রান করে ফিরেন উদ্বোধনী এই ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর কোনো রান সংগ্রহের আগেই রানআউট হয়ে যান ব্রায়ান বেনেট। তিন চারে ১৫ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
ষষ্ট ওভারে এই রানআউটের পর এবার আরো বড় ধাক্কায় সফরকারীরা। রানের খাতা খুলার আগেই দ্বিতীয় বলে সিকান্দার রাজাকে প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান মেহদী হাসান। দুই রান যোগ করতেই সপ্তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৮ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় রাজার তদল। দলীয় ৩৮ রানে সেন উইলিয়ামসনের উইকেট ভেঙে দেন তাসকিন আহমদ।
দ্রুত ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া দলটি তিন রান যোগ করতেই হারায় আরো একটি উইকেট। ইনিংসের অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৪১ রানের মাথায় এবার বিদায় নেন লুক জং। ২ রান করা এই ব্যাটারকে প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান সাইফুদ্দিন।
অষ্টম উইকেটে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ক্লাইভ মাদান্দে ৭৫ রানের দারুণ প্রতিরোধ গড়া জুটি গড়েন। তাতেই শত রান পেরুয় সিকান্দার রাজার দলের। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ১১৬ রানের মাথায় মাদান্দের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৩৯ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রানের সংগ্রহে মাদান্দে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তাসকিন তাকে বোল্ডের পরপরই জিম্বাবুয়ের ইনিংস আর বেশি বড় হয়নি।
মাদান্দের বিদায়ের পরপরই ওয়েলিংটন মাসাকাদজাও ফিরেন দ্রুত। শেষ ওবারের দ্বিতীয় বলে রানআউট হন দলীয় ১১৯ রানের মাথায়। ৩৮ বলে দু’টি করে চার ও ছক্কায়ঢ ৩৪ রান করেন তিনি। ১ রানে মুজারাবানি শেষ বলে আউট হলে ১২৪ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে সাইফুদ্দিন, তাসকিন ৩টি করে ও মেহদী হাসান ২টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post