নিজস্ব প্রতিবেদক:: দুর্বার রাজশাহী আসলেই ‘দুর্বার’। কোনো কিছুই যে থামাতে পারছে না দলটিকে। ম্যাচ খেলেননি বিদেশী ক্রিকেটাররা ক্রিকেটাররা, বাতিল করছেন অনুশীলন। টাকার অভাবে ভালো হােটেলেও থাকতে পারেননি। কখনো বিদেশীদের ছাড়া খেলতে হয়েছে। আবার কখনো কম বিদেশী নিয়ে খেলতে হয়েছে। তবুও অদম্য ক্রিকেটাররা যে থামছেন না। আগের দিন রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে দেওয়া রাজশাহী এবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকেও হারালো।
দুই বিদেশীকে নিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে মাঠে নামা দুর্বার রাজশাহী জিতেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। আগে ব্যাট করা সিলেট স্ট্রাইকার্স ৯ উইকেটে ১১৭ রান তুলেছিলো। তা টপকে যেতে রাজশাহী ৫ উইকেট ও ১৯ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করেছে। এই জয়ের ফলে প্লে-অফের দৌড়ে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো তাসকিনের দল। টেবিলের এখন তিন নম্বরে দুর্বার রাজশাহী।
মিরপুরের হোব অব ক্রিকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট বরাবরের মতোই হতাশা দিয়ে শুরু করে। সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও আরিফুল হকের উদ্বোধনী জুটি স্থায়ী হয় মাত্র ১৭ রানের। ৭ রান করা অধিনায়ক আরিফুলের বিদায়ের পরই ৯ রান করা সামিউল্লাহও সাজঘরে ফিরেন। এরপরই ৫ খেলেও রানের খাতা খুলতে না পারা সাজিদুল হক প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন। ১৯ রানেই তিন উইকেট হারায় স্ট্রাইকার্সরা।
শুরুতেই ধুঁকতে থাকা সিলেট শেষ পর্যন্ত শতরানের স্কোর পার করে জকির হাসান, জাকের আলী ও আহসান ভাট্টির ব্যাটে চড়ে। দুই ছক্কায় ২১ বলে ইনিংস সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন আহসান ভাট্টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন জাকির হাসান। খেলেন ২৫ বল, হাঁকান দুই চার ও এক ছক্কা। দুই বাউন্ডারিতে ১৮ বলে ১৭ রান করেছেন জাকের আলী। সিলেট নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১১৭ রানে থামে।
রাজশাহীর হয়ে মেহরাব চারটি ও মৃত্যুঞ্জয় তিনটি উইকেট লাভ করেন।
১১৮ রানের টার্গেটে খেলতে নামা রাজশাহীকে শুরুতে চেপে ধরেছিলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় রাজশাহী। শুন্য রানে ফিরে যান ওপেনার সাব্বির। এরপর দলীয় ১৩ রানে জিসানকে তুলে নেয় স্ট্রাইকার্সরা। এই ওপেনার ৬ বলে করেন ১১ রান। স্কোর বোর্ডে আরো দুই রান তুলতেই ডাক মেরে ফিরেন এনামুল হক বিজয়। দলীয় ১৫ রানেই প্রতিপক্ষের তিন উইকেট তুলে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসে স্ট্রাইকার্সরা।
দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া রাজশাহী চতুর্থ উইকেটও হারায় দ্রুত। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে দলীয় ২২ রানে প্যাভেলিয়নের পথ ধরেন ইয়াসির আলী। ৯ বলে দুই রান করেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে আকবর আলী ও রায়ান বার্ল বিপর্যয় সামাল দেন। বের করে নেন ম্যাচ। ইনিংসের ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে পঞ্চম উইকেটে আকবর আলী যখন ফিরেন, রাজশাহীর রান তখন ৯৭। পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ বলে ৪৩ রান করেন এই উইকেটরক্ষক। রায়ান বার্ল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৮ রানে। ৩৪ বলের ইনিংসে পাঁচ চার ও দুই ছক্কা হাঁকান তিনিও। ৫ রানে অপরাজিত থাকেন মেহরাব।
সিলেটের হয়ে তানজীম সাকিব ও জন রোস ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০