নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১৮তম ওভারে তৃতীয় বলে তাইজুল ইসলামের ডেলিভারিতে মিড অনে ক্যাচ মিস করেন নাঈম হাসান। যদিও বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামা নাঈমের জন্য একটু কঠিনই ছিল ক্যাচটি। তবুও হাফ চান্স মিসে হতাশাই ভর করছিল সবার মাঝে। সেই হতাশা দূর হলো নিমিষেই। সেই তাইজুলের হাত ধরেই তৃতীয় সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের উইকেট তুলে নেন তাইজুল। উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত হয়ে ২২ রান করেই বিদায় নেন এই তারকা। ২৪ বলে ৩ বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংস। জীবন পেলেও, ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। প্রথম ইনিংসে রান আউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যাচ আউট হলেন।
ম্যাথিউসের উইকেটের পর ক্রিজে এসে টিকতে পারেননি আরেক তারকা দীনেশ চান্দিমাল। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলে, রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। আর এতে সফল হয় টাইগাররা। ডাক মেরে চান্দিমাল ফিরলে, চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে লঙ্কানদের। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সবশেষ সংগ্রহ ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান।
এর আগে ৯২ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরুর আভাস দিয়ে চা-বিরতিতে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল শ্রীলঙ্কা দল। তবে লঙ্কানদের স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি টাইগাররা। দিলশান মধুশঙ্কার উইকেট শিকার করে নাহিদ রানা উল্টো বাংলাদেশকে এনে দেন স্বস্তি। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে ১০ রান করা মধুশঙ্কাকে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করান এই পেসার।
আর এই উইকেটের সাথে সাথেই চা-বিরতির ঘোষণা দেন ম্যাচের দুই অনফিল্ড আম্পায়ার। চা-বিরতির আগে ৫.৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ১৯ রান। সেখান থেকে ফিরে এসে তৃতীয় সেশনের শুরুতে নাহিদ রানার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুশল মেন্ডিস (৩)। ৩২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ২৮ রানের জুটি গড়ে দলকে স্বস্তি এনে দিতে চেয়েছিলেন দিমূথ করুণারত্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তবে সেটি বেশি দূর যেতে দেননি তাইজুল।
Discussion about this post