স্পোর্টস ডেস্ক:: জেতাটা খুব একটা সহজ নয়। যদিও অনিশ্চিত ক্রিকেটে কোনো নিশ্চয়তা নেই কখন কি হয়। তবুও শেষ দিনে ৪১৯ তুলে জয় তুলে নেওয়া বেশ ‘কঠীন’ হবে পাকিস্তানের জন্য। লঙ্কানরা যে ৫০৮ রানের বিশাল পাহাড় সামনে দাঁড় করিয়েছেন, চতুর্থ দিন শেষে পাকিস্তান এক উইকেটে ৮৯ রান তুলে এখনো আছে অনেক পিছিয়ে।
শেষ দিনের তিন সেশনে এই রান তোলা সহজ হবে না। পাকিস্তান তাই জয়ের পথে না এগিয়ে ‘ড্র’র পথে এগুবে। এই টেস্ট ‘ড্র’ যে জয়ের সমতুল্য। চতুর্থ ইনিংসে এতো রান তাড়া করে জিততে হলে রীতিমতো রেকর্ড গড়তে হবে বাবর আজমের দলকে। সফরকারী পাকিস্তান তাই ‘নিরাপদ’ পথ ড্র’য়ের দিকেই এগুবে।
এই টেস্ট ‘ড্র’ করতে হলেও লড়াই করতে হবে পাকিস্তানী ব্যাটারদের। সেই লড়াইয়ের প্রেরণা তারা নিতে পারেন করাচির সেই টেস্ট থেকে। গত মার্চে করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫০৬ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান ৭ উইকেটে ৪৩৩ রান তুলে ম্যাচ বাঁচিয়েছিলো। আজো তাই ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্য বাবরের দলে।
করাচির সেই ম্যাচে আব্দুল্লা শফিক ৯৬ রান করে ছিলেন। তিনি অবশ্য গল টেস্টে ইতিমধ্যে ফিরেছেন সাজঘরে। তবে সেই ম্যাচে ১৯৬ রান করে বাবর আজম এখনো আছেন অপরাজিত। ২৬ রানে অপরাজিত এই অধিনায়কের ব্যাটে আজ চেয়ে আছে পাকিস্তান দল। করাচির সেই গৌরবময় ড্রয়ের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে অপরাজিত থাকা মোহাম্মদ রিজওয়ানও আছেন ব্যাটিংয়ে নামার অপেক্ষায়। পাকিস্তানের সমর্থকেরা তাই ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন দেখতেই পারেন।
চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই পাকিস্তানের ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ ইউসুফ সেই করাচি টেস্টের অনুপ্রেরণা আনলেন সামনে। তিনি বলেন, ‘আমরা এর আগেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এমন লক্ষ্যে ম্যাচ ড্র করেছি। আমাদের মনে হয়, প্রায় একই সময়ে কাছাকাছি রান লাগবে এই ম্যাচ জিততে। করাচিতে সে ম্যাচে বাবর ১৯৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিল। শফিক ও রিজওয়ান ভালো খেলেছিল। এই ম্যাচে যেভাবে বাবর ও ইমাম খেলছে আগামিকাল (আজ) ভালোই হবে আশা করি।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০