আপত্তির পরও যেতে হয়েছে ফেরিতে, পুরো পথ ভয়ে ছিলেন ক্রিকেটাররা

0
6

স্পোর্টস ডেস্ক:: বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের তীক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে উইন্ডিজ সফরে। টেস্ট ভেন্যু থেকে টি-২০ ভেন্যুতে কেউই যেতে চাননি ফেরিতে করে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে। সবারই আপত্তি ছিলো। মাঝ সমুদ্রে ভয় আর আতঙ্কে ফেরি থেকে নেমে যেতে চাইলেও পারেননি, কারণ মিলবে না বিমানে যাওয়ার সুযোগ।

বৃহস্পতিবার তারা ভয় আর আতঙ্ক নিয়েই গেছেন পুরো পথ। আপত্তির পরও নিরুপায় হয়ে রিয়াদ, সাকিব, সোহানদের সমুদ্র পাড়ি দিতেই হয়েছে। অসুস্থ হয়ে বমিও করেছেন ক্রিকেটাররা। সেন্ট লুসিয়া থেকে ভায়া মার্টিনেক যাত্রার সময় এই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন ক্রিকেটাররা। সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ে ফেরি যখন দুলছিলো, ক্রিকেটাররা তখন আতঙ্কিত হয়ে উঠেন। তামিম ইকবাল ভয়ে ফেরিতে করেই যাননি। যদিও টি-২০ স্কোয়াডে না থাকার কারণেই তিনি সেটা করতে পেরেছেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাথে আলোচনা করে সেন্ট লুসিয়া থেকে টি-২০ ম্যাচের ভেন্যুতে যাওয়ার জন্য সমুদ্রপথ বেছে নেয় ক্যারিবিয়ান বোর্ড। বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ দল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের নিয়ে ছোট্ট একটি ফেরি সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকা হয়ে ভায়া মার্টিনেকে যাত্রা করে।

পার্লে এক্সপ্রেসের ফেরিতে করে যাত্রার সময় ক্রিকেটাররা আতঙ্কিত হন। পাঁচ ঘন্টার পথে পুরেটা সময় আতঙ্কে ছিলেন ক্রিকেটাররা। এসময় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল ও টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঢাকায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সাথে যোগাযোগেরও চেষ্টা করেন। তবে সংযোগ পাননি তারা। পার্লে এক্সপ্রেসের যাত্রা বিরতি দেয় ডমিনিকায়। ক্রিকেটাররা সেখানেই নেমে পড়তে চেয়ে ছিলেন। সেখান থেকে বিমানে করে ভয়া মার্টিনেক যাত্রার কথা বলেন ক্রিকেটাররা।

কিন্তুু ঢাকা থেকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দীন চৌধুরী সুজন ম্যানেজার নাফিস ইকবালকে জানান, এই স্বল্প সময়ের মধ্যে বিমানের টিকিট ম্যানেজ করা কষ্টসাধ্য। ফলে বাধ্য হয়েই ক্রিকেটাররা ফেরিতে করে যান টি-২০ ম্যাচের ভেন্যুতে। সেন্ট লুসিয়া দ্বীপ থেকে ক্রিকেটাররা যখন ফেরিতে উঠেন, তখন তাদের মধ্যে বাড়তি উচ্ছ্বাস ছিলো।

কিন্তুু ফেরি যখন মাঝ সমুদ্রে পৌঁছায় তখন থেকেই ভয় পেতে থাকেন ক্রিকেটাররা। প্রায় ৬/৭ ফুট উচ্চতার ঢেউয়ে ফেরি যখন দুলছিলো, ক্রিকেটাররা তখন সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে উঠেন। ফেরিতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পেসার শরিফুল ইসলাম, উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান ও দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল খান। পেসার শরিফুল বেশ কয়েকবার বমিও করেন।

জানা যায়, বিসিবির সাথে পরামর্শ করেই উইন্ডিজ বোর্ড ফেরিতে যাতায়াতের সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সমুদ্র পথে যাওয়ার সম্মতি দেওয়ায় ক্যারিবিয়ান বোর্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেনি। কিন্তুু ফেরিযাত্রা যে এতোটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে আর ক্রিকেটাররা এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন সেটা হয়তো কেউই বুঝতে পারেননি।

পার্লে এক্সপ্রেসের ফেরিটিতে দুই দলের ক্রিকেটার, অফিসিয়াল ছাড়াও সাধারণ কিছু যাত্রীও ছিলেন। ফেরিটি এই রুটে নিয়মিতই চলাচল করে। তবে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের ফেরিযাত্রা এবারই ছিলো প্রথম। তাই ক্রিকেটাররা আতঙ্কিত ছিলেন বিশাল সমুদ্রের মাঝে পড়ে। বিশেষ করে ফেরি ডলফিন চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার সময় বেশি ভয় কাজ করে ক্রিকেটারদের মধ্যে, এমনটাই জানিয়েছে একটি গণমাধ্যম।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here