নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৪২৭ রানের জবাবে শুরুটা ভালো ছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। কিন্তু শুরুর সেই ধারা মধ্যাহ্ন বিরতির পরই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। জাকির-জয়ের বিদায়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
তবে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় দল সাইফ ও আফিফের ব্যাটে। কিন্তু সেটিও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে লক্ষ্যে নিয়ে যায়নি। দারুণ খেলতে থাকলেও দলীয় দুইশ রান পেরোনোর আগেই দুজন বিদায় নিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবেও ফিফটি ও সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়তে হয় তাদেরকে। তাদের সাথে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন নাঈম হাসানও।
চা-বিরতির আগে ছয় ব্যাটারের বিদায়ে বিপর্যয়ে আছে টাইগাররা। জেগে বসেছে ফলো অনের শঙ্কা। ফলো অন এড়াতে বাংলাদেশ দলকে করতে হবে ২২৭ রান। তবে চা-বিরতির আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সবশেষ সংগ্রহ ৩৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান। সাইফ হাসান সর্বোচ্চ ৯৫ আর অধিনায়ক আফিফ ৪৫ রান করে আউট হন। দুজনের ১০১ রানের জুটিতেই বাংলাদেশের মান রক্ষা হয়।
এখন পুরোদস্তুর ব্যাটার বলতে উইকেটে আছেন কেবল জাকের আলি অনিক। এছাড়া টেল এন্ডে রিশাদ হোসেন ভালো ব্যাট করতে পারেন। তারা ব্যতীত ব্যাট করতে বাকি আছেন কেবল রেজাউর রহমান রাজা, মুশফিক হাসান ও রিপন মণ্ডল।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ১৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৩ রান সংগ্রহ করেন বাংলাদেশ। শুরুর ধীর-স্থির ব্যাটিং কেটে যায় সাইফের আগ্রাসী ব্যাটিং। সেই সাইফ আগ্রাসী ছিলেন মধ্যাহ্ন বিরতির পরও। কিন্তু এর আগে দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় টাইগাররা। মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরে আসার পর দ্বিতীয় ওভারেই আকিম জর্ডানের পেসে কুপোকাত হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জাকির হাসান। উইকেটের পেছনে থাকা জশুয়া ডা সিলভার হাতে তুলে দেন ক্যাচ। ৫৫ বলে বাউন্ডারিতে ৩০ রানেই থামতে হয় এই বাঁহাতিকে।
পরের ওভারেই সদ্য উইকেটে আসা মাহমুদুল হাসান জয়কে থার্ড স্লিপে থাকা অ্যালিক স্টিভেনের ক্যাচে পরিণত করে ড্রেসিং রুমের পথ ধরিয়ে দেন জেয়ার আন্টোনিও। ৬ বল খেলে মাত্র ২ রানেই থামে জয়ের ইনিংস।
দ্রুত সময়ে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া বাংলাদেশের ঢাল হয়ে দাঁড়ান সাইফ ও অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। সাইফ নিজের ঝড়ো ব্যাটিং ধরে রেখে ফিফটি পূরণ করে সেঞ্চুরির দিকে ছুতে যান। আফিফও ঝড়ো ব্যাটিং করেন। যদিও একবার জীবন পেয়েছেন। স্লিপে ক্যাচ মিস হয়েছে তার।
দুজনের ১০১ রানের জুটি ভাঙে আফিফের বিদায়ে। ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে ৪১ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছয়ের মারে ৪৫ রান করে আউট হন। টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকা সাইফও বিদায় নেন খানিক পরই। সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়েন এই ব্যাটার। ৭১ বলে ১৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার মারে ৯৫ রান করে বিদায় নেন সাইফ। উইকেটে টিকতে পারেননি নাঈম হাসান। চা-বিরতিতে যাওয়ার আগ মূহুর্তে দলীয় ১৯০ রানের মাথায় আউট হয়ে ফিরেন ব্যক্তিগত ৪ রানে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post