নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হজ্বের কারণে উইন্ডিজ সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন মুশফিকুর রহিম। পরবর্তীতে আসে জিম্বাবুয়ে সফর। সেই সফরের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ওয়ানডেতে থাকলেও, টি-টোয়েন্টিতে নেই মুশফিক। এই ফরম্যাটে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এই তারকাকে।
যদিও সেটাকে দল থেকে বাদ পড়াই ধরে নেওয়া হচ্ছে। আর এমন এক কাণ্ডে মুশফিকুরও খানিকটা ক্ষিপ্তই। কেননা দুই দিন অনুশীলনের ছবি ও ভিডিও দিয়ে নাম করে বোর্ডের দিকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন মুশফিক। আর এতে আলোচনার থেকে সমালোচনাই বেশি শুনতে হয়েছে।
মুশফিকদের এমন আচরণে বিব্রত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে এমনটা প্রত্যাশা করেননি তারা। এবার সেটিই স্মরণ করিয়ে দিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ক্রিকেটারদের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজন শেষে নাম না উল্লেখ করে, সকল ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে পেশাদার হতে।
সুজন বলেন, ‘আমরা কীভাবে পেশাদার হতে পারি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ক্রিকেট একটা পরিবার, এখানকার কথাগুলো বাইরে যাওয়াটা একটা ভুল বার্তা দেয়। সেটা যে বা যারা দিচ্ছে, এটা ভালো না, স্বাস্থ্যকর না। আমরা এসব নিয়েও কথা বলেছি। আমার মনে হয় যে, এখন আমাদের সময় যে সংস্কৃতি গড়ে তোলা।’
‘আমি আজ ছেলেদের পরিষ্কার বার্তা দিয়েছি, যে পেশাদারিত্ব তৈরি করতে। আমাদের পেশাদার হতে হবে। আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে। হ্যাঁ, আমাদের অনেকের মন খারাপ হতে পারে। বাদ পড়লে, মন খারাপ হবে স্বাভাবিক। দলে ঢুকলে মন খুশি হয়। ভালো খেললে ভালো লাগে, খারাপ খেললে খারাপ লাগে।’
‘ক্রিকেট মনস্তাত্ত্বিক খেলা, এখানে সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপ আসে। আমরা ভালো খেলি না কেন? মানসিকতায় চাপের কারণেই তো এমন হয়। আমার কথা, যতদিন এসব সংস্কৃতি আমরা তৈরি করতে পারব না, ততদিন পর্যন্ত ভালো একটা দল হয়ে ওঠতে পারব না।’ যোগ করেন সুজন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা