স্পোর্টস ডেস্কঃ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। হায়দ্রাবাদে মঙ্গলবার আগে ব্যাট করে ৩৪৪ রানের পুঁজি পায় লঙ্কানরা। সেই রান তাড়া করতে নেমে জোড়া সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ৬ উইকেটে জয়ের রেকর্ড গড়েছে বাবর আজমের দল। আব্দুল্লাহ শফিকের সেঞ্চুরির সাথে মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয়ের রেকর্ড এটিই। ২০১১ আসরে ব্যাঙ্গালোরেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের জয় ছিল আগের রেকর্ড। সেই ম্যাচে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন কেভিন ও’ব্রায়েন। আজও সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া হয়েছে পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা এই ম্যাচে।
তাড়া করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দলের খাতায় ৩৭ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন দুই টপ অর্ডার ব্যাটার। ব্যক্তিগত ১২ রানে ওপেনার ইমাম-উল-হক আর ১০ রান করে আউট হন অধিনায়ক বাবর আজম। দুজনকেই ফেরান দিলশান মাদুশঙ্কা। তৃতীয় উইকেটে আব্দুল্লাহ শফিককে নিয়ে লঙ্কান শিবিরে চাপ বাড়ান রিজওয়ান। দুজনের জুটিতে ৩৩ ওভারের মধ্যে ২১৩ রানে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
১০৩ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করে আউট হন শফিক। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়নে রিজওয়ান। ১২১ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ১৩১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে রিজওয়ানের সঙ্গে ৯৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয় সহজ করা সাউদ শাকিল আউট হন ৩০ বলে ৩১ রান করে। আর শেষদিকে জয়ের সঙ্গী ইফতিখার আহমেদ ১০ বলে অপরাজিত ছিলেন ২২ রানে। লঙ্কান বোলারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন মাদুশঙ্কা। ১টি করে উইকেট দখলে নেন মাহিশ থিকশানা ও মাথিশা পাথিরানা।
এর আগে টস জয়ী শ্রীলঙ্কা এতদূর গেছে কুশল মেন্ডিস আর সাদিরা সামারাবিক্রমার দুই সেঞ্চুরিতে। একবার জীবন পেয়ে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেছেন মেন্ডিস। আউট হওয়ার আগে সেঞ্চুরি করেছেন ৬৫ বলে, যেটা বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দ্রততম। এর আগে বিশ্বকাপে লঙ্কানদের দ্রুততম সেঞ্চুরির দুটিই ছিল কুমার সাঙ্গাকারার। শেষ পর্যন্ত কুশল মেন্ডিস ৭৭ বলে ১২২ রান করেন। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৪টি চার ও ৬টি ছক্কায়। আর সামারাবিক্রমা ১০ বাউন্ডারি, ২ ছক্কায় ৮২ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করার পরপরই আউট হয়ে যান। তাকেও ফেরান হাসান আলি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post