স্পোর্টস ডেস্ক:: দেশে ফিরতে শুরু করেছেন ওয়ানডে দলের ক্রিকেটাররা। প্রথম দফায় বুধবার দেশে ফিরেছেন মিরাজ-তাসকিনরা। ক্যারিবিয়ান সফরে একমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটেই সফল হয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছে ৩-০ ব্যবধানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে। ক্রিকেটের সাদা বলের এই ফরম্যাটে গত বছর পাঁচেক ধরে দারুণ খেলছে বাংলাদেশ দল।
আইসিসির ওয়ানডে রেঙ্কিংয়ে বোলারদের এবং অলরাউন্ডারদের সেরাদের তালিকায় আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ক্যারিবিয়ান সফর শেষে দেশে ফিরে তিনি জানিয়েছেন টাইগাদের স্বপ্নের কথা। সামর্থ্যের কথা। তার মতে- ক্রিকেটে ওয়ানডে ফরম্যাটটাই বাংলাদেশ সবচেয়ে ভাল খেলে। তারাও স্বপ্ন দেখেন সাদা বলের বিশ্বকাপ জিতবেন, এশিয়া কাপ জিতবেন।
ডানহাতি ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বল করে জানিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘চেষ্টা করি ভ্যারিয়েশন করার জন্য। ব্যাটসম্যানদের একটু প্রবলেম হয়। সিচুয়েশন অনুযায়ী ভ্যারিয়েশন করার চেষ্টায় থাকি, কাজে লেগেছে, ব্যাটসম্যান হয়তো ভুল করে। একটা জিনিস দেখেন, ওয়ানডে ক্রিকেট কিন্তুু রানের খেলা। আমি যদি ভাল করতে হয়, তাহলে আমাকে রাইটি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, ভালো করতে হবে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে আমি ভাল করার সুযোগ বেশি থাকে, ডানহাতি সব সময় চেষ্টা করে ডমিনেট করার জন্য। আমি সব সময় চেষ্টা করি তাকে কিভাবে আটকানো যায়। আমি ওভাবে চেষ্টা করি। সেটা আমার জন্য ভাল হবে এবং টিমের জন্যও ভাল হবে।’
টেস্টে পাঁচ দিন ভাল খেলতে হয় জানিয়ে মিরাজ আরো বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট কিন্তু টানা পাঁচ দিন ভালো খেলতে হয়। একটা সেশন খারাপ খেললে আরেকটা সেশন সুযোগ থাকে। টানা পাঁচ দিন যে টিম ভাল করে, সেটিমই রেজাল্ট পাওয়ার চান্স বেশি। আবার টি-২০ খুব শর্ট টাইমের খেলা। একটা ওভার, দুইটা ওভারে মোমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়। দুইটা দুই রকম কন্ডিশন।’
ওয়ানডেতে বাংলাদশ ভালো খেলছে, এখানে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ জয়ের স্বপ্ন দেখেন টাইগাররা জানিয়ে মিরাজ বলেন, ‘ওয়ানডে যেহেতু আমরা অনেক দিন ধরে ভাল খেলি, সবাই ভাল টাচে থাকে সব সময় এবং সবাই ওই বিশ্বাসটা করে এবং আমাদের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। ওয়ানডেতে আমরা সব সময় ভাল ক্রিকেট খেলি। ২০২৩ বিশ্বকাপ বেশি দূরে নেই। হয়তো আর এক বছর দুই তিন মাস আছে। আমরা যে ভাবে যাচ্ছি, আমি মনে করি আমরা ওই প্রসেসে আগালে সামনের বিশ্বকাপ আরো বেশি ভাল হবে। অনেক অভিজ্ঞ প্লেয়ারও থাকবে। তামিম ভাই আছে, সাকিব ভাই থাকবে, মুশফিক, রিয়াদ ভাই আছে, তারা অনেক অভিজ্ঞ। তার পাশাপাশি মুস্তাফিজ, আমি, লিটন দা আমরা যারা আছি তাদেরও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ৫ বছরের কাছাকাছি হয়ে যাবে। মোটামুটি ভাল একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যাব। আমরা সব সময় স্বপ্ন দেখি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হব, এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হব।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০