আমরা পাওয়ার ফুল ক্রিকেট খেলতে পারি না- লিটন দাস

0
9

স্পোর্টস ডেস্ক:: টি-২০ মানেই চার ছক্কা। সেখানেই যে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ, ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ শেষে সেটাই স্মরণ করিয়ে দিলেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে।

গায়ানায় সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান করেছিলো। জবাবে খেলতে নামা উইন্ডিজ ১০ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় ১৬৯ রান। ৫ উইকেটের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দলটি। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের ব্যাটার লিটন দাস জানিয়েছেন, ছক্কায়ই পিছিয়ে ছিলো তার দল।

বাংলাদেশের ব্যাটাররা পাওয়ার ফুটল ক্রিকেট খেলতে পারেন না, টাইগার দলে হিটার ব্যাটার নেই বলেও মন্তব্য করেন লিটন। জানিয়েছেন, টি-২০ খেলতে হলে পাওয়ার ফুল ক্রিকেটই খেলতে হবে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের ছক্কা হাঁকানোর সক্ষমতা কম। তাই চারের মারেই মনযোগী থাকেন টাইগার ক্রিকেটারররা।

টাইগার ব্যাটাররা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারেন না জানিয়ে লিটন দাস বলেন, ‘পুরান ও মায়ার্স ভালো ব্যাটি করেছে। খুব ভাল ভাল বলেও ওরা মেরেছে। ওরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে, যেটা আমরা খেলতে পারি না। আমার মনে হয় এই জিনিসটা কাজ করে বোলারের মাথায়। যে উনিশ বিশ হলে ওরা মেরে দেবে। তারা প্রাকৃতিক ভাবে অনেক পাওয়ার ফুল। যেটা আমি বা আমরা, আমাদের টিমে কেউই নেই। তারা যে কোনো সময় চাইলেই বড় ছয় মেরে দিতে পারে, যেটা আমরা বা আমাদের টিমের অনেকের কেপাবল নয়।’

বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ব্যাটিংয়ে ছক্কা নয়, চার মারার চিন্তা করেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ব্যাটিংয়ের সময় চিন্তা করি চার মারার জন্য। আমাদের গেইমে চারই বেশি হয়। ওদের তুলনায়, ওরা ছয় বেশি মারে। আমরা এনিতেই পাওয়ার ফুল ক্রিকেট খেলতে পারি না। অনেকেই বলে স্কিলের খেলা, অনেকেই বলে টেকনিকের খেলা, কিন্তুু আমার কাছে মনে হয় কিছু কিছু সময় পাওয়ার হিটিং দরকার। আমরা এই জিনিসটায় অনেকখানি পেছেন। ‘

স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ৪৩ বলে নিতে পারেননি কোনো রান। বাকী ৭৭ বলে নিয়েছেন ১৬৩ রান। জবাবে উইন্ডিজের ব্যাটাররা রান আদায় করেছেন ৭২ বল থেকে নিয়েছেন ১৬৯ রান। ১০ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে স্বাগতিকরা। রান নিতে পারেননি ৩৮ বল থেকে।

বাংলাদেশ বোলিং ব্যর্থতায় হারলেও ব্যাটারদের দায়ও অনেক। উইন্ডিজের ব্যাটাররা চার-ছক্কা হাঁকিয়েছেন ২০টি। তাতে চার ছিলো ৯টি আর ছক্কা ছিলো ১১টি। বাউন্ডারি থেকে ৩৬ রান নেওয়া দলটি ছক্কা হাঁকিয়ে তুলেছে ৬৬ রান। বিপরীতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ছক্কা হাঁকিয়েছে প্রতিপক্ষের চেয়ে অর্ধেক কম। টাইগারদের ইনিংসে চার-ছক্কা ছিলো ১৬টি। তাতে ৪ ছিলো ১১টি। ৪৪ রান এসেছে বাউন্ডারি থেকে। ছক্কা ছিলো মাত্র ৫টি। সেখান থেকে এসেছে মাত্র ৩০ রান।

প্রতিপক্ষের চেয়ে ছয়টি ছক্কা কম হয়েছে বাংলাদেশের ইনিংসে। অথচ টি-২০ খেলাটাই চার-ছক্কার। যে দল যত বেশি বাউন্ডারি হাঁকাতে পারবেত, তাদের জয়ের সম্ভাবনাই ততবেশি। পাওয়ার হিটিংয়ে সব সময়ই ব্যর্থ হয়ে আসছে টাইগাররা। উইন্ডিজদের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজও তার ব্যতিক্রম হ‍য়নি। তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হরেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here