স্পোর্টস ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তীরে এসে তরি ডুবিয়ে সুপার এইটের স্বপ্নে ভাটা পড়ল বাংলাদেশের। তবুও আশা ছাড়ছেন না টাইগার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়লেন তিনি। ম্যাচে বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের স্বীকার হয়েছে বাংলাদেশ। আম্পায়ারের ভুলে ৪ রান থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা। আর এই ৪ রানের প্রোটিয়াদের কাছে হেরে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ম্যাচ শেষে ম্যাচ হারের কারণ হিসেবে আম্পায়ারকে কাঠগড়ায় তুললেন হৃদয়।
বাংলাদেশের ইনিংসের ১৭তম ওভারে প্রোটিয়া পেসার ওটনিল বার্টম্যানের বল মাহমুদউল্লাহর পায়ের লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। প্রোটিয়াদের এলবিডব্লিউর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিতেও বেশি দেরি করেননি। রিভিউয়ে দেখা যায়, বল চলে যেত লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে দিয়ে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত তাই পাল্টে যায়। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ার আউট দেয়ার পর সেই সিদ্ধান্ত রিভিউয়ে বদলে গেলেও কোনো রান যোগ হয় না। ৪ রান থেকে বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
হৃদয় বলেন, ‘সত্যি বলতে, সেটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। আঁটসাট ম্যাচে আমাদের জন্য ভালো কিছু ছিল না সেটি। আমার মতে, আম্পায়ার আউট দিয়েছেন, তবে আমাদের জন্য কঠিন ছিল। ওই চারটি রান পেলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারত। আর কিছু বলার নেই। নিয়ম তো আইসিসি কী করেছে এটা তো আমার হাতে নেই। কিন্তু ঐ চারটা রান আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আম্পায়ারও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আরও ২-১টা ওয়াইড দেয়নি। এমন ভেন্যুতে খেলা যেখানে রান হচ্ছে না, লো স্কোরিং ম্যাচ। সে জায়গায় ১-২ রান অনেক বড় ফ্যাক্ট। ঐ ৪ রান বা ২ ওয়াইড ক্লোজ কল ছিল। আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। এই জায়গাগুলোতে উন্নতির জায়গা আছে। আইসিসির নিয়মে আমাদের হাত নেই।’
এসএনপিস্পাের্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post