স্পোর্টস ডেস্কঃ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে আর্সেনাল। ঘরের মাঠে এগিয়ে যেতে সময় নেয়নি গানাররা। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মিকেল আর্তেতার দল। উল্টো জোড়া গোল হজম করে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধে লিন্দ্রো টেসার্ডের গোলে সমতা ফেরায় গানাররা। কিন্তু জয় পায়নি কোনো দলই।
ম্যাচের প্রথম গোল পেয়েছিল আর্সেনালই। দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে ম্যাচের ১২ মিনিটে গানারদের লিড এনে দেন উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। তবে লিড খুব বেশিক্ষণ টেকেনি। গ্যাব্রিয়েল এবং ডেভিড রায়ার হাস্যকর ভুলের সুযোগ নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় বায়ার্ন। সেখানেই গোল করে বসেন সার্জ ন্যাব্রি। ১৮ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে বাভারিয়ানরা। এরপর ঘরের মাঠে আর্সেনাল সমর্থকদের দ্বিতীয়বার হৃদয় ভাঙে ২৯ মিনিটে। বক্সের ভেতর লেরয় সানেকে ফাউল করে উইলিয়াম সালিবা ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। সফল স্পট কিকে এমিরেটস স্টেডিয়ামে ক্লাব ফুটবলে নিজের ষষ্ঠ গোলটি করেন কেইন। আর্সেনালের বিপক্ষে যা তার পঞ্চদশ গোল। ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে লিসান্দ্রো ট্রসার্ডকে নামান আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা। এই টোটকায় যেন ভাগ্য ফেরে আর্সেনালের। দারুণ এক দলগত আক্রমণ থেকে গোল পেয়ে দলকে সমতায় আনেন এই বেলজিয়ান স্ট্রাইকার। এই গোলই শেষ পর্যন্ত হার থেকে বাঁচায় আর্সেনালকে। শেষ পর্যন্ত হার এড়ালেও, কিছুটা অস্বস্তি আছে আর্সেনালের। কারণ পরের ম্যাচটা যে তাদের বায়ার্নের মাঠ আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় খেলতে হবে। দ্বিতীয় লেগে জয় নিয়ে ফিরতে পারে কি না সেটাই দেখার অপেক্ষা। আগামী ১৭ এপ্রিল হবে ফিরতি লেগ। সেই ম্যাচের জয়ী দল যাবে সেমি-ফাইনালে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post