নিজস্ব প্রতিবেদক: শেষ দিনের খেলার তখনো ৬.৩ ওভার বাকী। সিলেটের বিপক্ষে জিততে হলে চট্টগ্রামের চাই ২৪৩ রান। সংগ্রহ মাত্র ১৪৬ রান। আর জয়ের জন্য সিলেটের প্রয়োজন চট্টগ্রামের ১টি উইকেট। ম্যাচের এমন পরিস্থিততে আলো স্বল্পতার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আম্পায়াররা খেলা বন্ধ করে দিলেন। একটি উইকেটের জন্য জয় থেকে বঞ্চিত থাকলো সিলেট। ড্র নিয়েই ছাড়তে হলো মাঠ।
দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেট ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ২৪৩ রানের টার্গেট দেয় চট্টগ্রামকে।
ফতুল্লায় মঙ্গলবার শেষ দিনে ২৪৩ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১৪৬ রানেই ৯ উইকেট হারিয়েছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের হয়ে সাঈদ সরকার ৬৮, ইয়াসির ২৩ রান করেন।
সিলেটের হয়ে রাহাতুল ফেরদৌস জাবেদ ৫টি, ইবাদত ১টি উইকেট পান।
দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটের হয়ে তান্না ১৪, সিলাম আলম ২৬ রান, জাকির হাসান ৮৬, রাজেন সালেহ ৩৪ রান করে আউট হন। অলক কাপালী ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
চট্টগ্রামের আরিফ ৩টি ও ইফতেখার সাজ্জাদ ২টি উইকেট পান।
চট্টগ্রামের তাদের প্রথম ইনিংসে ৩১৫ রানে অল আউট হয়। চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্ছ ৯৫ রান ইয়াসির আলীকে সাজঘরে পাঠান শাহনুল। এছাড়াও ৫৬ রান করা সাঈফ উদ্দিন, ৫৭ রান তসলিমুলকেও ফেরান শাহনুর। অভিষেক মিত্র ২২ রান, মুমিনুল হক করেন ৫ রান, ইরফান শুকুর করেন ২০ রান।
সিলেটের হয়ে ১ম ইনিংসে শাহনুর ৫টি উইকেট লাভ করেন।
এর আগে সিলেট প্রথম ইনিংসে শাহনুর, অলকের সেঞ্চুরি, রাজিনের অর্ধশতকে ৪৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ করেন।
১৯৫ বলে ১০২ রান করে। শাহনুর রহমান ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজান ৯ চার, ২ ছয়ের নাদন্দিনক ইনিংসে।
রাজিনের ৫১ ও অলক কাপালীর অপরাজিত ১০৫ রানের সুবাধে প্রথম দিন শনিবার শেষে প্রথম ইনিংসে ২৮১ রান করেছে সিলেট। ৯০ ওভারে এ রান সংগ্রহ করতে ৫টি উইকেট হারিয়েছে সিলেট। আজ দ্বিতীয় দিন সকালে উইকেট হারিয়েছ আরো ৩টি। ৮ উইকেটে সিলেট ৪৪২ রান সংগ্রহ করেছে।
সিলেটের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন অলক কাপালী। ১৭১ বলে ১০০ রান করেন। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় সিলেট। তান্না ফিরে যান ৪ রানে। দলীয় ৩৯ রানে সিয়াম আলম ২৭ রানে আউট হয়ে যান। এরপর জাকির আলম ৩২ রানে ফিরে যান সাজঘরে। ২৭ রান করেন রুমান আহমদ। ৫১ রানে রাজিন সালেহ ইফতেখার সাজ্জাদের বলে আউট হন।
চট্টগ্রামের হয়ে ইফতেখার সাজ্জাদ ৩টি, সাইফ উদ্দিন ২টি, সাঈদ সরকার, বেলাল ১টি করে উইকেট লাভ করেছেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০
