নিজস্ব প্রতিবেদক:: আর মাত্র ক’টা দিন। এরপরই পর্দা উঠতে যাচ্ছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ ফুটবলের। কাতারে অনুষ্ঠিত হবে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ। ৩২ দলের ফুটবল লড়াই দেখার অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। শুধুমাত্র ফুটবলের লড়াই নয়, এই ক্রীড়া মহাযজজ্ঞের সাথে জড়িয়ে আছে আরও অনেক কিছু। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় নিজেদেরকে প্রস্তুত করেছে আয়োজক দেশ কাতার। যেখানে স্টেডিয়াম আছে বড় অংশ জুড়ে। বিশ্বকাপের জন্য সম্পূর্ণ নতুন স্টেডিয়াম গড়ে তুলেছে বিশ্বকাপের আয়োজকরা। সেই স্টেডিয়ামগুলোর বিস্তারিত ধারাবাহিকভাবে তুলা ধরা হবে। আজকের প্রতিবেদনে থাকছে আরবের ঐতিহ্যবাহী ‘গাহফিয়া টুপি’-এর আদলে নির্মাণ করা আল থুমামাহ স্টেডিয়ামের কথা।
আল থুমামা স্টেডিয়ামটি আরবের ঐতিহ্যবাহী ‘গাহফিয়া টুপি’-এর আদলে নির্মাণ করা হয়েছে। দোহার দক্ষিণে অবস্থিত স্টেডিয়ামটি দেখতে টুপির মত। এই স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ৪০ হাজার। বিশ্বকাপে মোট ৮টি ম্যাচ গড়াবে এই মাঠে। এই ৮ ম্যাচের ৬টি গ্রুপ পর্বের, শেষ ষোলোর ১ ও কোয়ার্টার ফাইনালে ১ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানী দোহা থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার ও হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এ স্টেডিয়াম অবস্থিত।
পারস্য সাগরের তীর ঘেঁষা জনপদের একাংশের পারিবারিক জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে ধরা হয় এই ‘গাহফিয়া’ টুপিকে। ‘গাহফিয়া’ যুব বয়সের আগমনের প্রতীকও। এই টুপির আদলে নির্মিত আল থুমামা স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের খেলবে সেনেগাল ও নেদারল্যান্ডস। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও কোস্টারিকার খেলা আছে এখানে। স্বাগতিক কাতারের ম্যাচ আছে সেনেগালের বিপক্ষে। ইউরোপের জায়ান্ট বেলজিয়ামের বিপক্ষে লড়াই করবে মরক্কো। এছাড়া ইরানের বিপক্ষে মাঠে নামবে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডা ও মরক্কোর দেখা হবে এখানে।
আল থুমামার আশপাশ জুড়ে ৫০,০০০ বর্গমিটারের একটি পার্ক তৈরি করা হয়েছে, যার ৮৪ ভাগই সাজানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ দিয়ে। মূলত স্টেডিয়ামের আশেপাশের এলাকায় পরিবেশগত এবং প্রাসঙ্গিক স্থাপত্যের গুরুত্ব অন্বেষণ করতেই বিশেষ ধরণের নকশা করা হয়। এই স্টেডিয়ামের স্থপতিরা জানিয়েছেন ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার করা হলেও বিশ্বকাপের আসর শেষে ব্যয় সংকোচনের জন্য ধারণক্ষমতা নামিয়ে আনা হবে ২০ হাজারে। বিশ্বকাপ চলাকালে দর্শকদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার স্বাদ দিতে স্টেডিয়ামটি ছাদ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০/০০0