নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হারের অপেক্ষা নিয়ে চতুর্থ দিনের সকালটা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দিনের শুরুতেই তাইজুল ইসলামের বিদায়ে, সেটি আরও কাছে চলে আসে। তবে শ্রীলঙ্কার সামনে বাঁধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান মুমিনুল হক ও মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ উইকেটে দুজনের ৬৬ রানের জুটিতে মান রক্ষা হয় বাংলাদেশের। তবে দলের রান একশ পার করা পর বিদায় নেন মিরাজ। ভালো শুরু পেয়েও, ইনিংস লম্বা করতে পারেননি।
এখন তাই একা লড়তে হচ্ছে মুমিনুলকে। শরিফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে টাইগারদের ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছেন এই বাঁহাতি তারকা। মধ্যাহ্ন বিরতি পার করেছে বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বাংলাদেশের সবশেষ সংগ্রহ ৩৮ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৯ রান। জয়ের জন্য ৩৮২ রান প্রয়োজন, হাতে আছে মাত্র ৩ উইকেট। ফিফটির পথে থাকা মুমিনুল অপরাজিত আছেন ৪৬ রানে। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ মূহুর্তে প্রথম ইনিংসের শেষ ওভারে (৩৮তম ওভারের প্রথম বলে) স্লিপে জীবন পাওয়া শরিফুল অপরাজিত আছেন ৩ রানে।
রৌদ্র্যজ্জল আবহাওয়ায় আগের দিনের করা ১৩ ওভারে ৫ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে সকালের শুরুটা মনমতো হলো না টাইগারদের। কোনোমতে দলের রান পঞ্চাশ পার করে দিনের খেলা শুরুর তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান তাইজুল। খেলা শুরুর মাত্র ১১ মিনিটের মাথায় প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় তাকে। ইনিংসের ১৬তম ওভারের কাসুন রাজিথার ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ’র শিকার হয়ে ফিরেন তাইজুল। রিভিউ নিয়েও পার পাননি তিনি। ১৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৬ রান করে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান।
বাংলাদেশের বিপদ বেড়ে যায় এতে। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মুমিনুল ও মিরাজ। দুজনে মিলে বেশ ভালোই মোকাবেলা করতে থাকেন লঙ্কান বোলারদের। তবে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার ২৫ মিনিট আগে ৩৩তম ওভারের তৃতীয় বলে কাসুন রাজিথার ডেলিভারিতে স্লিপে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ৫০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করেন তিনি। এরপর শরিফুলের সাথে ১২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার হয়ে বিশ্ব ফার্নান্দো ও কাসুন রাজিথা সমান ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন এখন পর্যন্ত।
Discussion about this post