স্পোর্টস ডেস্ক:: প্রায় ছয় দশক ধরে শিরোপার আক্ষেপ নিয়ে ঘুরছে ইংল্যান্ড। সেই আক্ষে এবারো বাড়লো। জেতা হলো না স্বপ্নের শিরোপা। ইউরো সেরার মুকুট। এক যুগ পর স্পেন আবারো ইউরো সেরার মুকুট পড়লো।
বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সাদা শিবিরকে স্তব্ধ করে উৎসবে মাতলো স্প্যানিশরা। বার্লিন মেতে উঠলো লাল উৎসবে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে বার বছর পর বৈশ্বিক আসরে চ্যাম্পিয়ন হলো স্পেন।
তরুণ লামিন ইয়ামালের স্পেন মুকুট পড়লো ইউরোপ সেরার। ফাইনালের শুরুটা ছিলো ম্যাড়ম্যাড়ে। গতিহীন, ছন্দহীন ফুটবলের দৃশ্য অবশ্য পাল্টে যায় বিরতির পর। স্পেন মূর্হু মূর্হু আক্রমণে জমিয়ে তুলে ম্যাচ। দুর্দান্ত, রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষে শিরোপা ঘরে তুললো স্প্যানিশরা।
বৈশ্বিক শিরোপা জয়ের জন্য ইংলিশদের অপেক্ষা আরো বাড়লো। ১৯৬৬’র পর থেকে ইংল্যান্ডের আর জেতা হয়নি বড় কোনো শিরোপা। এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে হ্যারি কেইন যে আক্ষেপ ঘুঁচাতে চেয়ে ছিলেন সেটা আর হলো না। বিরতির আগে এগিয়ে যাওয়া স্পেন বিরতির পর ব্যবধান বাড়িয়ে ২-১ গোলে জিতলো ইউরোপ সেরার মুকুট।
ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। গতিহীন লড়াই শেষে দুই দল গোল শুন্য সমতায় শেষ করে প্রথমার্ধ। সমর্থকেরাও অপেক্ষা করতে থাকেন রোমাঞ্চকর দ্বিতীয়ার্ধের।
বিরতির পরপরই স্পেন লিড নেয়। দ্বিতীয়ার্ধের মিনিট দু’একের মাথায় ম্যাচের ৪৭তম মিনিটে নিকোর গোলে স্পেন এগিয়ে যায় ১-০ ব্যবধানে। এরপরই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। সমতায়ও ফেরে ইংল্যান্ড। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলী নামা কোল পালমার সমতায় ফেরান ইংল্যান্ডকে। ৭৩তম মিনিটে তর গোলেই স্কোর লাইন হয়ে যায় ১-১।
দারুণ উত্তেজনার ম্যাচে ইংলিশরা সমতা খুব বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি। মিনিট দশেক পরই স্পেন আবারো লিড নেয়। ম্যাচের ৮৩তম মিনিটে মিকেলের গোলে স্পেন লিড নেয় ২-১ ব্যবধানে। পিছিয়ে পড়া কেইনের দল আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও স্পেন লিড ধরে রাখে। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের ব্যবধানে শিরোপা জিতে মাঠ ছাড়ে স্প্যানিশরা।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post