স্পোর্টস ডেস্ক:: লর্ড শান্ত, মাঠে নামলেই দর্শকদের এমন তোপের মুখে পড়তেন। গ্যালারি থেকে উড়ে আসতো নানা কটুক্তি। তবে দমে যাননি নাজমুল হোসেন শান্ত। নিজের কাজ করে গেছেন তিনি। সব সমালোচনার জবাব দেওয়ার জন্য বেছে নিলেন বিদেশের মাঠ।
কঠিন কন্ডিশনে দলকে জেতালেন সিরিজ। সিরিজ শেষে তাই সিরিজ সেরার পুরস্কার শান্তর হাতেই উঠলো। ইংল্যান্ডের মাঠে গিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন। ইংলিশদের মুল্লুকে আইরিশ জয়ের নায়কতো তিনিই।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে পাহাড়সম লক্ষ্য টপকানো যায় শান্তর সেঞ্চুরিতেই। সিরিজের শেষ ম্যাচে এবার বল হাতেও সফল শান্ত। চতুর্থ উইকেটে আইরিশরা জুটি গড়ে জয়ের পথেই এগুচ্ছিলো। মুস্তাফিজ, মিরাজ, এবাদত, মৃত্যুঞ্জয়রা যখন উইকেট শিকারে ব্যর্থ অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৪২তম ওভারে বল তুলে দেন শান্তর হাতে। তিনিও অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন। ট্যাক্টরকে ফিরিয়ে ভেঙে দেন আইরিশদের ৭৯ রানের জুটি। ৪৫ রান করা ট্যাক্টরকে লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।
এরপরই মুস্তাফিজ তিন উইকেট নিয়ে ভেঙে দেন আইরিশদের ব্যাটিং লাইনআপ। শেষ ওভারে হাসান মাহমুদ দুই উইকেট তুলে নেয় জয়ের বন্দরে পৌঁছান দলকে। বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ওই ১ উইকেট ছাড়াও ব্যাট হাতে ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে ছিলেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৭ রানের ঝলমলে ইনিংস। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া প্রথম ওয়ানডেতে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ৪৪ রানের ইনিংস।
তিন ম্যাচের সিরিজে ব্যাট হাতে ১৯৬ রানের সঙ্গে বল হাতে এক উইকেট, সিরিজ শেষে তাই সিরিজ সেরার পুরস্কার উঠলো শান্তর হাতেই। আইসিসির ওয়ানডে সুপার লিগের অন্তর্ভূক্ত সিরিজটি তামিমের দল জিতে নিলো ২-০ ব্যবধানে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post