স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে খর্বশক্তির আফগানিস্তান আর ক্রিকেটের পরাশক্তি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ দল। দু’টি সিরিজই স্পোটিং উইকেটে খেলবে টাইগাররা।
স্পিন নির্ভর নয়, বরং পেস আক্রমণেও তারা স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি ইংলিশদের বিপক্ষে গত বছর বিশ্বকাপে জয়ের নায়ক ছিলেন একজন পেসার। তিনি হলেন রুবেল হোসেন।
সেজন্যই এবার স্পোটিং উইকেটে খেলবে বাংলাদেশ দল।বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক সুত্রে জানা গেছে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্পিনিং উইকেট বানানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বিসিবির। বরং স্পোর্টিং উইকেটে খেলার কথাই ভাবছে বোর্ড। বিসিবির গ্রাউন্স কমিটির চেয়ারম্যান হানিফ ভুঁইয়া এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিসিবির গ্রাউন্স কমিটির চেয়ারম্যান হানিফ বলেন, ‘আমার মনে হয় এখন আমাদের জন্য স্পোর্টিং উইকেটই সবচেয়ে ভালো। এক সময় আমাদের বোলিং ছিল স্পিননির্ভর। স্পিনকেন্দ্রিক মানসিকতাও ছিল; কিন্তু সময় তা বদলে দিয়েছে। এখন আমাদের পেসার ও ব্যাটসম্যানরাও বুক চিতিয়ে লড়ছে।’
হানিফ আরও বলেন, ‘বিশ্ব মানের বোলিংয়ের বিপক্ষে তামিম, সৌম্য, মুশফিক ও সাকিবের ব্যাট খোলা তরবারির মতো ঝিলিক মেরে ছাড়ছে। পেসাররা যথেষ্ঠ ভালো করছে। কাজেই আমার মনে হয় আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের সঙ্গেও আমাদের উচিত স্পোর্টিং উইকেটে খেলা।’
গত বছর ক্রিকেট পরাশক্তি দেশ ভারত, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে জয় লাভ করে টাইগাররা। এই সিরিজগুলোর প্রায় প্রত্যেকটি ম্যাচেই জয়ের নায়ক ছিলেন পেসাররা এবং সেই ম্যাচগুলো খেলাও হয়েছিলো স্পোর্টিং উইকেটে।
সেকারণেই স্পিনিং উইকেট পরিহার করার পক্ষে বিসিবি। এর আগে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের অন্যতম দুই সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম স্পোর্টিং উইকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন।
এর সবথেকে বড় উদাহরণ হতে পারে গত বছর এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। সেই সিরিজে তামিম প্রথম দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি (১৩৫ বলে ১৩২ ও ১১৬ বলে ১১৬) এবং তৃতীয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন (৭৭ বলে ৬৫)।
অন্যদিকে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এসেছিলো একটি শতক ও একটি অর্ধশতক।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/ক্রি/০০