দাপুটে পারফরম্যান্সে ইতালিকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

0
10

স্পোর্টস ডেস্কঃ লা ফিনালিসিমার লড়াইয়ে নিজেদের আধিপত্য দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিওনেল মেসির দল। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ম্যাচের শুরু থেকে আরুজ্জিদের বিপক্ষে দাপুটে ফুটবল খেলেছে আলবেসেলিস্তেরা।

প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। লাউতারো মার্টিনেজ ও আনহেল ডি মারিয়ার গোল দু’টি করেছেন। আর যোগ করা সময়ে বদলি নামা পাওলো দিবালার গোলে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে ২০২১ কোপা আমেরিকা জয়ীরা। দাপুটে পারফরম্যান্সে এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় শিরোপা জিতল মেসি-ডি মারিয়ারা।

ম্যাচের ৫৬ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রেখে গোলমুখে ১৭টি শট নেয় আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল নয়টি। অন্যদিকে, ইতালির সাতটি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি। দ্বিতীয় মিনিটেই রদ্রিগো ডি পলের কাছ থেকে বল পেয়ে যান ডি মারিয়া। ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা গোলপোস্ট ছেড়ে অনেকখানি এগিয়ে ছিলেন। সুযোগ বুঝে মাঝমাঠের একটু সামনে থেকেই দূরপাল্লার শট নেন ডি মারিয়া। তার প্রচেষ্টা থাকেনি লক্ষ্যে।

ম্যাচের ১২তম মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় ইউরো জয়ী ইতালি। কিন্তু আলবিসেলেস্তদের গোলবারের প্রাচীর এমিলিয়ানো মার্তিনেজের বিশ্বস্ত গ্লাভস সে শট পরাস্ত করতে পারেনি। ২০তম মিনিটে জিওভানি ডি লরেঞ্জোর নেয়া শট গোলবারের সামনে থেকে ক্লিয়ার করেন ক্রিস্টিয়ান রোমেরো। পরের মিনিটেই ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় ইতালি। কিন্তু সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তারা।

আর্জেন্টিনা প্রথম গোল পেয়ে যায় ২৮তম মিনিটে। ইতালিয়ান ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে মেসি বল বাড়িয়ে দেন লাউতারো মার্টিনেজকে। খুব কাছ থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান ইন্টার মিলানের এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি মারিয়া। বোনুচ্চিকে দারুণভাবে এড়িয়ে লাউতারো রক্ষণচেরা পাস বাড়ান। ইতালির ডি-বক্সে ঢুকে আগুয়ান দোন্নারুমার উপর দিয়ে অসাধারণ দক্ষতায় চিপ করেন ডি মারিয়া। বল জালে পৌঁছাতে উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। এর আগে গত বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রায় একই ধাঁচের গোল করেছিলেন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫তম মিনিটে নিজেদের ভুলে আরেক গোল খেতে বসেছিল ইতালি। তবে সে যাত্রায় রক্ষা হলেও এরপর একাধিক আক্রমণ সামলাতে হয় রবার্তো মানচিনির দলকে। বোনুচ্চির ব্যাকপাস গোলরক্ষক দোন্নারুমা একেবারে শেষমুহূর্তে ঠেকান। ডি মারিয়া ৬০তম মিনিটে জোরাল শট নেন। একজয়ের পায়ে লেগে ক্রসবার ঘেঁষে ভিতরে ঢুকতে যাচ্ছিল, কোনোমতে এক হাত দিয়ে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক। এরপর মেসির নেওয়া কর্নারেই বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে বুলেট গতির ভলি মারেন ডি মারিয়া। গোলরক্ষক কোনোমতে ঠেকান সেটি।

এরপর মাঝমাঠ থেকে ড্রিবলিং করে ডি-বক্সে ঢুকে যান মেসি। আচমকা শটে ইতালির রক্ষণকে হকচকিয়ে দেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। তবে গোলরক্ষকের সজাগ দৃষ্টি এড়াতে পারেননি তিনি। ঠেকিয়ে দেন দোন্নারুমা। বদলি হিসেবে মাঠে নেমে আড়াই মিনিটের মধ্যেই জালের ঠিকানা খুঁজে নেন দিবালা। মাঝমাঠে অধিনায়ক মেসিকে পাস দিয়ে ওপরে উঠে যান তিনি। এরপর মেসির পাস থেকেই বাম পায়ের নিখুঁত শটে দোন্নারুমাকে পরাস্ত করেন এ তরুণ ফরোয়ার্ড। দিবালার গোলের পরপরই বাজানো হয় ম্যাচের শেষ বাঁশি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here