স্পোর্টস ডেস্ক:: ইতালির দুঃসময়ে হাল ধরে ছিলেন। এরপর সাফল্যের চূড়ায় উঠে ছিলেন। টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার বিশ্ব রেকর্ডও গড়েছিলেন রবার্তো মানচিনি। ২০২০ ইউরো জয়ও করেছিলেন। সেই কোচই হঠাৎ পদত্যাগ করলেন।
ইতালিকে বদলে দেওয়া রবার্তো মনিচিনি কেন পদত্যাগ করছেন সেই প্রশ্নের উত্তর মিলেনি। দুঃসময়ে হাল ধরে ইতালিয়ান ফুটবলে পুনর্জাগরণ ঘটানো মানচিনি নিজেই সরে দাঁড়িয়েছেন এমনটিই বলছে স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যম। ইতালির ফুটবল ফেডারেশন কোচের পদত্যাগের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
ইতালির প্রধান কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মানচিনি। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন তার পদত্যাগ পত্র গ্রহণও করেছে। ২০১৮ সালে দলের দুঃসময়ে দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন মানচিনি। কাতার বিশ্বকাপে দলকে নিতে পারেননি ভাগ্যের কাছে হেরে। তবে সাফল্য টিকই পাচ্ছিলেন তিনি।
টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকা, সঙ্গে ইউরো জয়ের মতো বড় সাফল্য পেলেও তিনি আর কোচের দায়িত্ব পালন করবেন না। নিজেই স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছেন মানচিনি। ২০১৮ সালে ইতালির ডাগআউটে আসা এই কোচ নিজের পথচলা থামিয়ে দিলেন নেশন্স লিগের চূড়ান্ত পর্ব দিয়ে।
জার্মানিতে আগামি বছর শুরু হতে যাওয়া ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের আগ মূহুর্তে বড় ধাক্কা খেলো ইতালির ফুটবল। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামার আগে মানচিনি দায়িত্ব ছাড়ায় বেকায়দায় পড়তে হবে ইতালির ফুটবল ফেডারেশনকে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বের ম্যাচ সামনে, টিক তার আগেই এই কোচ জানিয়ে দিলেন, তিনি আর কাজ করবেন না।
আগামি ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ইতালির ফুটবল ফেডারেশনের সাথে চুক্তি ছিলো মানচিনির। তবে তার আগেই আচমকা জানিয়ে দিয়েছেন এই মূহুর্তে তিনি জাতীয় দলের কোচিং করানোর মতো কাজ করতে পারছেন না। তবে টিক কি কারণে চাকরি ছাড়ছেন এই কোচ সেটি জানা যায়নি। একটি গণমাধ্যম জানিয়েছেন, ঘনিষ্ট দু’জনের মৃত্যুতে মানষিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন মানচিনি।
এফআইজিসি রোববার এক বিবৃতিতে মানচিনির পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, ‘ফেডারেশন ঘোষণা করছে যে রবার্তো মানচিনির পদত্যাগপত্র গতকাল সন্ধ্যায় গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের মে মাসে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল, শেষ হলো ২০২৩ নেশনস লিগের চূড়ান্ত পর্ব দিয়ে। এর মধ্যে দিয়ে আজ্জুরিদের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য পাতা বন্ধ হয়ে গেল। ২০২০ ইউরো জয়ের পথে তিনি এমন একটি স্কোয়াড গড়ে তুলেছিলেন, যেটাকে সবাই নিজের দল মনে করতে পারতেন।’
ফুটবল ইতালিয়া’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধুকে হারানোর শোকে ভেঙে পড়েছেন মানচিনি। মাস কয়েকের ব্যবধানে বন্ধু সিনিসা মিহাইলোভিচ ও ইতালি দলের সহকর্মী জিয়ানলুকা ভিয়াল্লিকে হারান এই কোচ। দুই ঘনিষ্ঠের মৃত্যুতে মানষিক ভাবে তিনি ভেঙে পড়েছেন। এ অবস্থায় জাতীয় দলকে কোচিং করানোর পাশাপাশি প্রতিভা খুঁজে আনার মতো বিশাল দায়িত্ব হয়তো তাঁর কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post