স্পোর্টস ডেস্কঃ পারফর্মেন্স দিয়ে মন জয় করতে পারছিলেন না। বাদ পড়েন জাতীয় দল থেকেও। সময়টা তাই ভালো যাচ্ছিল না জেমস অ্যান্ডারসনের। এরপরই ইংলিশ ক্রিকেটে নতুন ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে রব কি, অধিনায়ক হিসেবে বেন স্টোকস ও কোচ হিসেবে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম যোগ দেন, তখনই ফের আবার ডাক পড়ে জাতীয় দলে।
আর ডাক পেয়েই নিজের চিরচেনা রূপ দেখালেন জেমস অ্যান্ডারসন। ৩৯ বছর বয়সে এসেও, এখনও যে ফুরিয়ে যাননি সেটিই দেখালেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে, যথাক্রমে দুই ইনিংসে ৪ ও ২ উইকেট নিয়ে ৬ উইকেটের দেখা পান সব মিলিয়ে।
এরপর চলমান দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে শিকার করেছেন ৩ উইকেটে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত শিকার করেছেন ১ উইকেট। আর কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করা টম লাথামের উইকেট বোল্ডআউটের মাধ্যমে তুলে নিয়েই অনন্য এক মাইলফলকের খাতায় নাম লেখান অ্যান্ডারসন।
ইতিহাসের প্রথম এবং একমাত্র পেসার হিসেবে টেস্টে ৬৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন অ্যান্ডারসন। এই ইংলিশ কিংবদন্তীর ধারেকাছেও নেই আর কোনো পেসার। ৫৬৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী গ্লেন ম্যাকগ্রা আছেন দুই নম্বরে। আর স্বদেশী স্টুয়ার্ট ব্রড ৫৪৩ উইকেট নিয়ে আছেন তিন নম্বরে।
তবে বোলারদের মতে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই টেস্টে ৬৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন অ্যান্ডারসন। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৮০০ উইকেটের ল্যান্ডমার্ক নিয়ে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তী স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন আছেন সবার শীর্ষে। ৭০৮ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন আরেক কিংবদন্তী স্পিনার অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন। যিনি কিনা চলতি বছরের মার্চে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
আর সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তৃতীয় স্থানটা দখলে আছে জিমি অ্যান্ডারসনের। অনন্য এই কীর্তি গড়তে ২০০৩ সালে টেস্টে অভিষেকের পর থেকে অ্যান্ডারসনকে খেলতে হয়েছে ১৭১ ম্যাচ। আর বল করতে হয়েছে ৩১৮ ইনিংসে। এখন পর্যন্ত তাঁর ইকোনোমি রেট ২.৮০। যা কিনা বেশ ঈর্ষনীয়।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা