স্পোর্টস ডেস্ক:: ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)’র বড় কোনো আসরে এর আগে খেলা হয়নি ইন্দোনেশিয়ার। তবে এবার ইতিহাস গড়েছে দেশটির অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেটাররা। প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো বিশ্বকাপ ইভেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দেশটি।
আগামি বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ অনুষ্টিত হবে আফ্রিকায়। সেই আসরে প্রথমবারের মতো খেলবে ইন্দোনেশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ক্রিকেট দল। বাছাই পর্বের বাঁধা পেরিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার কিশোরী মেয়েরা।
বাছাইয়ে পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে এই ইতিহাস গড়ে দলটি। শেষ ওভারে পাপুয়া নিউগিনির জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো মাত্র ২ রান। হাতে ছিলো দুই উইকেট। ইন্দোনেশিয়া প্রতিপক্ষের দুই উইকেটই তুলে নেয় কোনো রান না দিয়েই।
ইন্দোনেশিয়ানদের স্বপ্ন পূরণ করেন ১৮ বছর বয়সী বোলার আইয়ু কুর্নিয়ার্তিনি। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে কোনো রান না দিয়েই তিনি পাপুয়া নিউগিনির শেষ দুই ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠিয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিয়ে যান নিজ দেশকে। আগে ব্যাট করা ইন্দোনেশিয়া নির্ধারিত ওভারে মাত্র ৮ উইকেটে ৮৯ রান তুলে। জবাবে খেলতে নামা পাপুয়া নিউগিনি অলআউট হয়ে যায় ১৯.২ ওভারে ৮৭ রানে।
এমন দারুণ জয়ে উচ্ছ্বসিত ইন্দোনেশিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক ভেসিকারাত্না দেবি। তিনি বলেন,’আমি খুব খুশি এবং দল নিয়ে খুব গর্বিত। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমরা এই জায়গায় পৌঁছাবো। বিশ্বকাপে আমাদের সাফল্য দিয়ে গোটা ইন্দোনেশিয়াকে গর্বিত করতে বদ্ধপরিকর আমরা।’
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০