নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেছে ইংল্যান্ড দল। তবে দলটি শুরুতেই খেয়েছে বড় ধাক্কা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই হারিয়ে ফেলেছে জেসন রয়ের উইকেট। বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেওয়ার কারিগর সাকিব আল হাসান।
একেবারে শুরুর ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট হারায় ইংলিশরা। সাকিবের ওভার দ্য টপ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাটে বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি জেসন রয়। মিড অফে সহজ ক্যাচ লুফে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে এক বাউন্ডারিতে ৪ রান করে যান এই আগ্রাসী ওপেনার।
এর আগে মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানেই গুঁটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাঁকিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত করেছেন ৫৮ রান। এর বাইরে কেউ আর পঞ্চাশ ৩৫’র ঘরও ছুঁতে পারেননি। ছোট ছোট সব ইনিংসে লড়াই করার মতো পুঁজি স্বাগতিকদের।
ইনিংসের শুরুটা দারুণ হয় তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ব্যাটে। প্রায় ৫ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৩৩ রান। ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা কষ্ট করে যাওয়া লিটন দাস এক ছক্কা হাঁকিয়ে আভাস দেন ফেরার। তবে এরপরই ক্রিস ওকসের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে ৭ রান করেই ফিরে যান। রিভিউ নিয়েও পার পাননি।
দলীয় ৫১ রানের মাথায় মার্ক উডের গতির কাছে পরাস্ত হয়ে বোল্ড আউট হন দারুণ খেলতে থাকা অধিনায়ক তামিম। ৩২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে এই বাঁহাতি ওপেনার করেন ২৩ রান। তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম মিলে বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের ৪৪ রানের জুটি ভাঙে মুশফিকের সেই পুরোনো ভুলে। সুইপ শট খেলতে গিয়ে আদিল রশিদের বলে উডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৩৪ বলে ১ ছক্কার মারে করে যান ১৬ রান মাত্র।
উইকেটে এসেই তাড়াহুড়ো করতে দেখা যায় সাকিব আল হাসানকে। যেখানে ঠাণ্ডা মাথায় ইনিংস ধরার কথা ছিল, সেখানে মেরে খেলতে গিয়ে মঈন আলির বলে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি তারকা। এক বাউন্ডারিতে মাত্র ৮ রান করেন তিনি। বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশ এরপর আশার আলো দেখান শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজনে মিলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন।
শান্তর বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। তবে আউট হওয়ার আগে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ফিফটির দেখা পান সমালোচনায় থাকা এই ব্যাটার। ৮২ বলে ৬ বাউন্ডারির মারে খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস। তিন রান যোগ হতেই দ্রুতই বিদায় নেন উইকেটে সেট থাকা রিয়াদও। তিনি করেন ৪৮ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩১ রান।
আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসান মিরাজ এদিন ব্যর্থ হয়েছেন। যথাক্রমে ৯ ও ৭ রান করে বিদায় নিয়েছেন। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদের ১টি করে চার ও ছয়ের মারে ১৪ ও তাইজুল ইসলামের ১ চারের মারে ১০ রানের ইনিংসে ভর করে কোনোরকম দলীয় রানের খাতা দুইশ পার করে বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডের হয়ে ছয় বোলারের সবাই উইকেটের দেখা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন জোর্ফ্রা আর্চার, মার্ক উড, মঈন আলি ও আদিল রশিদ। ক্রিস ওকস ও উইল জ্যাকস লাভ করেন ১টি করে উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post