নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো না করলেও, পরবর্তীতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্লে-অফের দিকে এগোতে থাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে টানা জয়ে উড়তে থাকা কুমিল্লাকে এবার মাটিতে নামাল আসর থেকেই ইতিমধ্যেই ছিটকে যাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স।
নিজেদের নিয়ম রক্ষার ম্যাচে কুমিল্লাকে ১২ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আসরে নিজেদের চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে দলটি। অপরদিকে টানা ৭ জয়ের পর হারের তিক্ততা পেল কুমিল্লা। যদিও এতে প্লে-অফ থেকে ছিটকে যাচ্ছে না দলটি। এখনও হাতে ভালো সুযোগ রয়েছে।
সিলেটের দেওয়া ১৭৮ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৬ রানের মাথায় ওপেনার ইমরুল কায়েসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। পাওয়ার প্লে’র একেবারে শেষ বলে ৩৯ রানের মাথায় ফিরে যান টপ অর্ডারে নামা তাওহীদ হৃদয়। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন লিটন দাস।
কুমিল্লার অধিনায়ক তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন জনসন চার্লসের সাথে। তবে ৭৯ রানের সেই জুটিতে লিটনের অবদানই বেশি। চালর্স ধীর গতিতে ব্যাট করায় জয়ের জন্য লড়াই কঠিন হয়ে পড়ে কুমিল্লার। এই জুটি ভাঙে ২১ বলে ১২ রান করা চার্লসের বিদায়ে। এদিন ব্যর্থ হন মঈন আলিও। ৫ বলে খেলে ডাক মেরে ফিরেন তিনি।
এক প্রান্ত ধরে খেলতে থাকা লিটন দাসও প্যাভিলিয়নে ফিরলে জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে আসে কুমিল্লার। ফেরার আগে লিটন দাস ৫৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলে যান। শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল চেষ্টা চালান, তবে জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না সেটি। ১৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করে ইনিংসের একেবারে শেষ বলে আউট হন। ৬ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস।
সিলেটের হয়ে ৩ ওভারে ৩৩ রান খরচায় ৩ উইকেট একাই শিকার করেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচে ১ উইকেট শিকার করেন সামিত প্যাটেল।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বিপিএলের লিগ পর্ব থেকে বাদ পড়া সিলেট স্ট্রাইকার্স ব্যাটাররা জ্বলে উঠেন অসময়ে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭৭ রানের বড় পুঁজি পায় মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
ব্যাট হাতে সিলেটকে মাঝারি শুরু এনে দেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও কিনার লুইস। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে জুটি ভাঙেন সুনীল নারাইন। ক্যারিবিয়ান তারকার বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জাকির। ১৭ বলে ১৮ রান আসে জাকিরের ব্যাট থেকে। মুশফিক হাসানের বলে জনসন চার্লসের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন অপর ওপেনার লুইস। ২৫ বলে ৩৩ রানের সম্ভাবনায় ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি।
ব্যাট হাতে এদিন রীতিমতো ধুঁকেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৮ বলে ১২ রানের মন্থর ইনিংস থামে রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে। ইয়াসির আলি থামেন দুই রান করে। কুমিল্লার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একটা সময় বেশ ধুঁকছিল সিলেট। তবে, শেষ দিকে রানের গতি বাড়ান অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও বেনি হাওয়েল। ২০ বলে ২৮ রান করে নারিনের বলে লেগবিফোর হন মিঠুন।
মিঠুন ফিরলেও অর্ধশতক পূরণ করে নেন হাওয়েল। ঝড়ো ফিফটিতে সিলেটের সংগ্রহ নিয়ে ১৮০ রানের কাছাকাছি। ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৩১ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন হাওয়েল। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায়।
কুমিল্লার পক্ষে চার ওভারে এক মেডেনসহ ১৬ রানে দুই উইকেট নেন নারাইন। ৩৭ রান খরচায় রিশাদও পান দুই উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post