স্পোর্টস ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সদ্য সমাপ্ত আসরটা দারুণ গেছে তৌহিদ হৃদয়ের। আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচ খেলে ১২ ইনিংসে ৪০৩ রান করেছেন এই তরুণ। নামের পাশে আছে ৫ ফিফটি। স্ট্রাইক রেট ১৪০’র উপরে। এই আসর দিয়ে নিজেকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি।
ব্যাট হাতে হৃদয় মুগ্ধ করেছেন সকলকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) সন্তুষ্ট হৃদয়কে নিয়ে। যার ফলে আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডে দলে ডাকা হয়েছে ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। তবে হৃদয়ের জাতীয় দলে ডাক পাওয়া নিয়ে খুব একটা খুশি নন হৃদয়ের দল সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তাজা।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক জানিয়েছেন, এখনও যথাযত সময় হয়নি জাতীয় দলে হৃদয়ের ডাক পাওয়ার। খুব দ্রুতই প্রত্যাশা করা হচ্ছে তার কাছ থেকে। আরেকটু সময় নেওয়ার প্রয়োজন ছিল হৃদয়ের ক্ষেত্রে। এখন নেওয়া হয়েছে টিকই, পারফর্ম না করলেই ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া না হয়, সেটা বলে রেখেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
মাশরাফী বলেন, ‘হৃদয় ক্যারিয়ারের একদম শুরুর দিকে আছে। আমায় যদি বলেন, হয়তো আরেকটু সময় নিতাম ওর ক্ষেত্রে। সবাইকেই মেনে নিতে হবে এটা। জাতীয় দলে একটা দেশের সেরা পাঁচ বোলার থাকবে। আমি প্রত্যাশা করছি না…ভালো খেললে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু প্রত্যাশায়, কিছুটা লাগাম থাকা উচিত। কারণ, ছেলেটাকে খুব দ্রুতই দলে নেওয়া হয়েছে।
মাশরাফী আরও বলেন, ‘এখন এমনটা না হয়, রান না করলে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। তখন আমরা কিন্তু প্রশ্ন করি না, কেন এক টুর্নামেন্ট দেখেই তাকে দলে নেওয়া হলো। আর কেন এক-দুই ম্যাচ খেলানোর পর বাদ দেওয়া হলো। এই জিনিসগুলো দলে নেওয়ার সময় যেমন খেয়াল রাখতে হবে, বাদ দেওয়ার সময়ও খেয়াল রাখতে হবে। বারবার লিটন-শান্তকে যেভাবে সেট করা হয়েছে, প্রচুর চাপ কিন্তু ওদেরই নিতে হয়েছে। একজন খেলোয়াড়কে তৈরি করতে হলে সময় দিয়ে ও বিভিন্ন জায়গায় খেলিয়ে তাকে প্রস্তুত করতে হয়। কিন্তু জাতীয় দলে বারবার কাউকে সেট করা দলের জন্য যেমন কঠিন, সেই ক্রিকেটারের জন্যও কঠিন।’
‘হৃদয়ের কথা এটুকুই বলব, চমৎকার খেলোয়াড়। এই মুহূর্তে দারুণ ফর্মে আছে। আমি তার মঙ্গল কামনা করছি। তবে আমার ব্যক্তিগত মত হলো, সে যদি তিন-চারটা বা পাঁচটা ম্যাচে রান না-ও করে, আমি অবাক হব না। কারণ, আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনেক রকমের চাপ থাকবে। আশা করব, ও যেন চাপমুক্ত থেকে খেলে।’ যোগ করেন ম্যাশ।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/সা
Discussion about this post