নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটে আন্ত:উপজেলা জেলা প্রশাসক কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ফুটবল দল ও বিশ্বনাথ উপজেলা ফুটবল দল।
দু’টি দলই টুর্ণামেন্টের শুরুতে আলোচনার বাইরে থাকলেও শেষ মুহুর্তেই তারাই খেলছে ফাইনাল। টুর্ণামেন্টের ফেভারিট অন্য দলগুলোকে হটিয়ে ফাইনালে এসেছে এ দু’টি দল।
উপজেলা কাপের এ দু’টি দলেরই কোচ হচ্ছেন বাফুফে স্বীকৃত সিলেটের একমাত্র কোচ নুরী জাহান রাহেল। কোচ রাহেলের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলায়। তাই গোলাপগঞ্জ ফুটবল দলের দায়িত্ব নিতে হয়েছে তাকে। আবার বিশ্বনাথ ফুটবল দলেরও কোচ তিনি।
এ নিয়ে মধুর সমস্যায়ই পড়েছেন তিনি। তার দু’টি দলই ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। এবার তিনি কোনটিকে বেছে নিবেন? গোলাপগঞ্জ না বিশ্বনাথ? এমন প্রশ্নে জানালেন, গোলাপগঞ্জকেই বেছে নিতে হবে তাকে। তিনি অফিসিয়ালি গোলাপগঞ্জের কোচ।
তবে কি ফাইনালে কোচ বিহীন দল থাকবে বিশ্বনাথ? এমন শঙ্কা উঠেছে। তবে সেটি না হওয়ার কথা। বিশ্বনাথ দলের অধিনায়ক জুয়েল জানালেন, রাহেল স্যারকে বললে তিনি এসে আমাদেরকে কোচিং করাবেন। ফাইনাল ম্যাচে আগে আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট চাইলে রাহেল স্যারকে নিয়ে আসতে পারে।
জানা যায়, টুর্ণামেন্টের শুরু থেকেই গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন রাহেল। বিশ্বনাথ দলকে গোলাপগঞ্জ থেকে গিয়ে অনুশীলন করাতেন তিনি। ম্যাচের আগে বাতলে দিতেন পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী খেলেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে দলটি। বিশ্বনাথের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুশীলন হতো দলটির।
অপর দিকে কোচ রাহেল একই ভাবে টুর্ণামেন্টের শুরু থেকেই আছেন নিজ উপজেলা দলের সঙ্গে। গোলাপগঞ্জের এমসি একাডেমি মাঠে দলটির অনুশীলন চললেও ফাইনাল বিলম্বে হওয়াতে বর্তমানে অনুশীলন বন্ধ রয়েছে।
কোচ নূরী জাহান রাহেল এসএনপিস্পোর্টসকে বলেন, আমি অফিসিয়ালি গোলাপগঞ্জের কোচ। বিশ্বনাথে একটি ফুটবল একাডেমির কোচও আমি। সেই সুবাধে বিশ্বনাথ দলকে মাঝে মধ্যে গিয়ে অনুশীলন করিয়েছে। কিন্তুু দু’দল যখন ফাইনালে, তখন আমার উপজেলাকেই নিতে হবে আমাকে।
গ্রুপ পর্বে বিশ্বনাথ গোয়াইনঘাটক উপজেলাকে, কোয়ার্টার ফাইনালে জৈন্তাপুর উপজেলা দলকে, সেমিফাইনালে সিলেট সদরকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।
অপর দিকে গোলাপগঞ্জ গ্রুপ পর্বে বিয়ানীবাজার উপজেলা ফুটবল দলকে, কোয়ার্টারফাইনালে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ফুটবল দলকে, সেমিফাইনালে ওসমানীনগর উপজেলা ফুটবল দলকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০