নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশ দলে একঝাঁক তারকা। সাকিব আল হাসান থেকে শুরু করে লিটন দাস, তাসকিন আহমদের মতো তারকারা আছেন দলে। অথচ আয়ারল্যান্ড দলে একমাত্র পল স্টার্লিং ছাড়া বলার মতো আর কোনো নামই নেই।
ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি আইরশিদের একমাত্র তারকা পল স্টার্লিং। অতিথিদেরকে তাই হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। তবে যেই স্টর্লিং জ্বলে উঠেছেন, তাতেই বাংলাদেশ হেরে গেছে।
সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বোলাররা শুরুতেই বাংলাদেশের কোমর ভেঙে দেন। সাকিবের দলকে আটকে ফেলেন মাত্র ১২৪ রানে। তাসকিন, নাসুম, হাসান মাহমুদ, শরিফুল-সাকিবদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপ কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি আইরিশদের।
পল স্টার্লিং একই জিতিয়ে দিয়েছেন আয়ারল্যান্ডকে। ৬ ওভার হাতে রেখেই তুলে নিয়েছেন দারুণ এক জয়। স্টার্লিং ঝড়ে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ড হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে। সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সফরকারীরা।
আগে ব্যাট করা বাংলাদেশকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১২৪ রানে আটকে রাখে সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নামা দলটি পল স্টার্লিংয়ের ফিফটিতে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে।
১২৫ রানের টার্গেটে খেলতে নামা আয়ারল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ১৭ রানেই প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ব্যক্তিগত ৭ রানে ফিরে যান ওপেনার রস আডির। অর্ধশতকের আগেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা। দলীয় ৪১ রানে বিদায় হন লরকান টাকার। ৪ রান করেন তিনি।
আইরিশদের হয়ে বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করা পল স্টার্লিং থামেন দলের জয়ের পথ পরিস্কার করেই। ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৭ রান করে তিনি যখন আউট হন, দলের সংগ্রহ তখন ১২.১ ওভারে ১০৯ রান। ৪১ বলের ইনিংসে দশ চার ও চার ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পার ১৬ রানে ও হ্যারি টেক্টর ১৪ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ, শরিফুল ও তাসকিনরা ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই উইকেট হারায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার লিটন দাস। চার বলে এক চারে ৫ রান করেছেন তিনি। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৮ রানে বাংলাদেশ হারিয়েছে দ্বিতীয় উইকেট। ৮ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন শান্ত।
লিটন-শান্তর বিদায়ের পর রনি তালুকাদরও প্যাভেলিয়নে ফিরেন দ্রুত। বল হাতে দুর্দান্ত আইরশিরা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ২৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১০ বলে তিন চারে ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন রনি।
রনির বিদায়ের পর দ্রুতপ্যাভেলিয়নের পথ ধরেন সাকিব। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৪১ রানে সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এক চারে ছয় বলে ৬ রান করেছেন তিনি। তার বিদায়ের পর দ্রুত ফিরেন তাওহীদ হৃদয়ও। সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৪১ রানেই পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১০ বলে ১২ রান করেছেন এই তরুণ।
দশম ওভারের প্রথম বলে স্বাগতিকরা ষষ্ঠ উইকেট হারায়। দলীয় ৬১ রানে সাজঘরে ফিরেন অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন। এক ছক্কায় সাত বলে ৮ রান করেন এই লেগ স্পিনার।
চাপের মুখে শামীম ফিফটি করেন। ৪২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস সাজান শামীম। তার ৫১ রানেই বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারে ১২৪ রান তুলে।
আয়ারল্যান্ডের হয়ে মার্ক আডির ৩ টি উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post