নিজস্ব প্রতিবেদক:: রানের বন্যায় ভাসিয়েছেন দেশের ক্রিকেটকে। দুর্দান্ত হয়ে উঠেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। সমর্থকেরাও দাবি তুলেণ আরেকটিবার সুযোগ দেওয়ার জন্য। নানা আলোচনা-সমালোচনা আর শেষ মুহুর্তে ইয়াসির আলী রাব্বির ইনজুরিতে শেষ পর্যন্ত টেস্টে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়।
সেই উইন্ডিজে ২০০৮ সালে তার টেস্ট ক্যারিয়ার থেমে গিয়েছিলো, অনেকের কাছেই তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি ঘটেছিলো, সেই উইন্ডিজেই তিনি আবারো শুরু করলেন। যেনো নতুন রূপে শুরু বিজয়ের। দীর্ঘ আট বছর পর ক্যারিবিয়ান দ্বীপেই সাদা পোশাকে আরেকবার সুযোগ পেলেন তিনি। নতুন করা এই শুরুটা কাজে লাগাতেই পারলেই, সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ করলেই হয়তো মিলবে টিকে থাকার টিকিট।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টের আগে ইয়াসিরের ইনজুরিতে ডেকে নেওয়া হয় বিজয়কে। জয় ও তামিমের বিদায়ের পর ব্যাট হাতেও উইকেটে নেমেছেন এই ব্যাটার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ৬ রানে অপরাজিত আছেন।
২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হওয়া টেস্টে সবশেষ খেলে ছিলেন বিজয়। এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ আট বছর। ২০২২ সালের ২৪ জুন শুরু হওয়া টেস্টে তিনি আবারো ফিরলেন একাদশে, সেই উইন্ডিজেই। তার সব শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশ হেরেছিলো ২৯৬ রানের বড় ব্যবধানে।
ওই ম্যাচটিতে ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৩৯ বলে ৯ রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ বলেও কোনো রানের দেখা পাননি তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ৩৮০ রান করেছিলো। জবাবে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ১৬১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে ২৬৯ রান করে। বড় টার্গেটে খেলতে নামা বাংলাদেশ ১৯২রােই গুটিয়ে যায়।
তার আগের বছর ২০১৩ সালের ৮ মার্চ সাদা পোশাকে অভিষেক হয় বিজয়ের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে পা রেখে ছিলেন তিনি। এরপর মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই বাদ পড়েছিলেন। এবার যেনো আর তাকে পেছনে ফিরে থাকাতে না হয়, ব্যাট হাতে রানের পর রান করে যেনো এগিয়ে যান সামনে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/০০