স্পোর্টস ডেস্ক:: সময়টা মোটেও ভাল যাচ্ছে না ইতালির। বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে পারনি। ফাইনালিসিমায়ও হারতে হয়েছে আর্জেন্টিনার কাছে। এবার উয়েফা নেশন্স লিগে জার্মানির কাছে বিধ্বস্ত হতে হলো ইতালিকে। মানচিনির দলকে কোনো সুযোগই দেয়নি জার্মানি। এক প্রকার উড়িয়েই দিয়েছে। টানা তিন ম্যাচ হারা জার্মানি চার ম্যাচ পর পেলো জয়ের দেখা।
রাতের ম্যাচে ইতালিকে ৫-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে জার্মানি। প্রথমার্ধে দুই গোলে পিছিয়ে পড়া ইতালিতে দ্বিতীয়ার্ধে আরো তিন গোল হজম করেছে। বিপরীতে করতে পেরেছে মাত্র দুই গোল। টমাস মুলার এক প্রকার ছেলেখেলা করেছেন মানচিনির দলকে নিয়ে।
বিশ্বকাপের টিক আগ মুহুর্তে জ্বলে উঠা জার্মানি এদিন দুর্দান্ত হয়ে উঠে। ম্যাচের শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত দারুণ ফুটবল উপহার দেয় দলটি। ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা মেতে উঠে ফ্লিকের দল।
ম্যাচের দশ মিনিটেই কিমিখের দারুণ এক গোলে লিড নেয় জার্মানি। ডাভিড গাউমের ক্রসে বাড়ানো বল পায়ের আলতো ছুঁয়ায় ইতালির জালে পাঠিয়ে দেন তিনি। শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় দলটি। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ইলকাইয়ের স্পট কিক থেকে ব্যবধান বাড়ায় দলটি। ইতালির ফুটবলার ইয়োনাস বিপদজনক সীমানায় ফাউল করলে পেনাল্টি পায় জার্মানি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইলকাই গিনদোয়ান ব্যবধান ২-০ করে দলকে নিয়ে যান বিরতিতে।
বিরতির পরপরই আক্রমণ আরো বাড়িয়ে দেয় জার্মানি। ম্যাচের ৫১তম মিনিট টমাস মুলারের গোলে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলে দলটি। একতরফা ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করতে থাকা জার্মানির বড় জয় নিশ্চিত করেন ভেনার। মিনিট খানেকের ব্যবধানে পরপর জোড়া গোল পূর্ণ করে তিনি ইতালির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। ম্যাচের ৬৮ ও ৬৯তম মিনিটে পরপর দু’বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠান ভেরনার।
৫-০ গোলে পিছিয়ে পড়া ইতালি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। এরপর কিছুটা ছন্দেও ফিরে দলটি। পরিশোধ করে দুই গোল। ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে উইলফ্রেডের গোলে ব্যবধান কিছুটা কমায় দলটি। ৫-১ গোলে পিছিয়ে পড়া ইতালিকে শেষ মুহুর্তে আরেকটি গোল উপহার দেন আলেসান্দ্রো বাস্তোনি। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে তার গোলে ব্যবধান ৫-২ করে ইতালি। তবে শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে জার্মানি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০