স্পোর্টস ডেস্ক:: সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২৮ রানে হারলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দেওয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া জিতেছে বৃষ্টি আইনে। অজিদের ইনিংসে পরপর দু’বার বৃষ্টি আঘাত হানার পর আম্পায়াররা বৃষ্টি আইনে ম্যাচের ফলাফল ঘোষণ করেন।
১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়া উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে নেয় ৬৫ রান। দলীয় ৬৪ রানের পর বৃষ্টিতে বন্ধ ছিলো খেলা। বৃষ্টি থামার পর আবারো ব্যাটিং শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। রিশাদ বৃষ্টি থামার পর অসামাপ্ত ওভার করতে এসে দলীয় ৬৫ রানে, ইনিংসের সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে ৩১ রান করা হেডকে বোল্ড করে দেন। তিন চার ও দুই ছক্কায় ২১ বলের নিজের ইনিংসটি সাজান অজি ওপেনার। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা মিচেল মার্শকেও দ্রুত ফেরান রিশাদ। ইনিংসের নবম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৬৯ রানের মাথায় অধিনায়ক মার্শকে হারায় অজিরা। ৬ বলে এক রান করেন তিনি।
অজিদের ইনিংসের ১১.২ ওভারে আবারো বৃষ্টি আঘাত হানে। অস্ট্রেলিয়া তখন দুই উইকেটে ১০০ রান তুলে ফেলে। ৫৩ রানে ওয়ার্নার ও ১৪ রানে ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ছিলেন। বৃষ্টির কারণে আম্পায়াররা শেষ পর্যন্ত ২৮ রানে অজিদের জয়ী ঘোষণা করে ম্যাচ শেষ করেন।
বাংলাদেশের হয়ে দু’টি উইকেট রিশাদ শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভাল হয়নি। দলের রানের খাতা খুলার আগেই ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার তানজিদ তামিম। তিন বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা শান্ত লিটন দাসকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন। দ্বিতীয় উইকেটে দু’জনে মিলে যোগ করেন ৫৮ রান। ইনিংসের নবম ওভারের তৃতীয় বলে দলীয় ৫৮ রানে লিটনের বিদায়ে ভাঙে সেই জুটি। বাংলাদেশের এই ওপেনার দুই চারে ২৫ বলে ১৬ রান করেন।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর চারে নেমে পড়েন রিশাদ হোসেন। দ্রুত রান তুলার পরিকল্পনাতেই মাঠে নামা তার। তবে কাজে আসেনি এই পরিকল্পনা। তৃতীয় উইকেটে তিনি ফিরেন দ্রুতই। ইনিংসের দশম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৬৭ রানের মাথায় প্যাভেলিয়নে ফেরেন লেগ স্পিন অলরাউন্ডার। চার বলে করেন ২ রান। চতুর্থ উইকেটে তাহওীদ হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক শান্ত। ১৭ রানের জুটির পরপরই জাম্পার লেগবিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। ইনিংসের ১৩তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৫৪ রানের মাথায় অধিনায়কের বিদায়ে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩৬ বলে ৪১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন টাইগার অধিনায়ক।
পঞ্চম উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ১৯ বলে ১৯ রানের জুটি গড়ে সাকিব ফিরেন প্যাভেলিয়নে। ইনিংসের ১৭তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১০৩ রানের মাথায় টাইগার অলরাউন্ডারকে সাজঘরে পাঠান স্টয়নিস। ১০ বলে ৮ রান করেন তিনি।তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দ্রুত ফেরেন প্যাভেলিয়নে। তিন বলে ২ রান করে অভিজ্ঞ এই ব্যাটার ইনিংসের ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১২২ রানে ফিরে যান। তার বিদায়ের পর উইকেটে আসা মেহদী হাসান প্রথম বলেই ফিরেন প্যাভেলিয়নে। তার বিদায়ে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পরপর দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশ এরপরই হারায় তাওহীদ হৃদয়কে। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৩৩ রানে তিনি ফিরেন প্যাভেলিয়নে। দু’টি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৪০ রানের দারুণ দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেন এই তরুন। শেষ দিকে তাসকিনের ৭ বলে ১৩ ও সাকিবের ৩ বলে ৪ রানের সুবাদে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৪০ রানে থামে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্যাট কামিন্স ৩টি ও অ্যাডাম জাম্পা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০
Discussion about this post