কপাল খারাপ বাবর আজমের, এবার ৪৮৬ রানের ম্যাচেও হার

0
232

স্পোর্টস ডেস্ক:: নিজের কপালকে দোষতে পারেন পেশোয়ার জালমির অধিনায়ক বাবর আজম। পরপর দুই ম্যাচে ২৪০ রান করেও হারতে হলো তার দলকে। এবার হারলেন জাতীয় দলের সতীর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল মুলতান সুলতান্সের কাছে।

আগের ম্যাচে ৮ মার্চ ২৪০ রান তুলেছিলো বাবরের দল পেশোয়ার জালমি। সেঞ্চুরি করে ছিলেন অধিনায়ক নিজে। ১১৫ রানেরর ঝলমলে ইনিংস তিনি খেললেও জিতেনি দল। জেসন রয়ের সেঞ্চুরিতে কোয়েটা ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয়। প্রায় আড়াইশোর কাছাকাছি রান করেও হতাশার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিলো এই রান মেশিনের দলকে। ৪৮৩ রানের ওই ম্যাচে হারতে হয় বাবরকে।

এবার শুক্রবার সুলতান মুলতান্সের বিপক্ষেও তার দল করলো ২৪০’র বেশি রান। বাবর নিজে ব্যাট হাতে সামন থেকে নেতৃত্ব দিলেন দলকে। ৬ উইকেটে ২৪২ রান তুলে পেশোয়ার। কিন্তুু এদিনও হারলো তার দল। এবার সেঞ্চুরিয়ান মুলতানের রাইলী রুশো। ৪৮৩ রানের ম্যাচে হারের পর এবার ৪৮৬ রানের ম্যাচেও বাবর আজমের হার।

ব্যাট হাতে বাবার আজম ও সিয়াম আয়ুবের লড়াই বৃথা গেছে। তাদের ছাপিয়ে বিধ্বংসী শতকে রাইলী রুশো আর ‘বিস্ফোরক’ হাফ সেঞ্চুরিতে কা্ইরণ পোলার্ড ৪৮৬ রানের ম্যাচ জেতালেন মুলতান সুলতান্সকে। বাবরের দল পেশোয়ার জালমি ২৪২ রান করেও জিততে পারলো না। ৫ বল হাতে রেখে চার উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে মুলতান।

পিএসএলে রানের বন্যা বইছে। আগে ব্যাট করা পেশোয়ার অধিনায়ক বাবর আজম ও সিয়াম আয়ুবের হাফ সেঞ্চুরিতে ২৪২ রান তুলে। বড় লক্ষ্যে খেলতে নামা মুলতান রাইলী রুশোর বিধ্বংসী শতকের সঙ্গে কাইরন পোলার্ডের অর্ধশতকে ছয় উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

রাওয়াল পিন্ডিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামা পেশোয়ার জালমি দুই ওপেনার অধিনায়ক বাবর আজম ও সিয়াম আয়ুবের দায়িত্বশীল ব্যাটে ৬ উইকেটে ২৪২ রান তুলে। উদ্বোধনী জুটিতেই ১৩৪ রান আদায় করে দলটি। ১১.৪ ওভার স্থায়ী উদ্বোধনী জুটিতেই বড় পূঁজির ভিত্তি পায় দলটি। সিয়াম আয়ুবের বিদায়ৈ ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। ৩৩ বলে ৫৮ রান করেন এই ওপেনার। ১৭৫’র বেশি স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজানো ছিলো পাঁচ চার ও চার ছক্কায়।

ওপেনার আয়ুব ফিরে গেলেও বাবর আজম খেলেন বড় ইনিংস। ১৮৭’র বেশি স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৩৯ বলে ৭৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিনি। নয় চার ও দুই ছক্কায় সাজান দলের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি। এছাড়াও ৩৮ রান করেন টম কুলার। ৩৫ রান আসে মোহাম্মদ হারিসের ব্যাট থেকে।

মুলতান সুলতান্সের হয়ে আব্বাস আফ্রিদী ৪টি উইকেট লাভ করেন।

২৪৩ রানের টার্গেটে খেলতে নামা মুলতান সুলতান্সের শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি। ২৮ রানের মধ্যেই ফিরে যান দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শান মাসুদ। অধিনায়ক রিজওয়ান ৬ বলে করেন ৭ রান। মাসুদের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে দুই ওপেনারকে হারায় মুলতান।

তবে দ্রুত দুই ওপেনারের বিদায়ের পর পাল্টে যায় ম্যাচের চিত্র। পরের গল্পটা রাইলী রুশো ও কাইরন পোলার্ডের। দু’জনের ব্যাটে উড়ে যায় পেশোয়ার জালমি। বিধ্বংসী হয়ে উঠা রাইলী রুশো থামেন দলের জয় অনেকটা নিশ্চিত করে ১২১ রানে। ২৩৭’র বেশি স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি সাজান ৫১ বলে বার চার ও আট ছক্কায়।

রুশোর মতো ‘বিস্ফোরক’ ইনিংস খেলেন কাইরন পোলার্ডও। মাত্র ২৫ বলে করেন ৫২ রান। ২০৮ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে তিন চার ও পাঁচ ছক্কায় সাজান। দু’টি করে চার ও ছক্কায় ৮ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন আনোয়ার আলী। ৩ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন উসামা মীর। তাতে ৫ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত হয় মুলতানের।

পেশোয়ারের হয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২টি উইকেট লাভ করেন।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here