স্পোর্টস ডেস্ক:: লাল মাটির পিচ থেকে এবার কালো মাটির পিচে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। সফরকারী দলকে স্বাগতিক ভারত চেন্নাই টেস্টে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলো লাল মাটির পিচে। এবার ভেন্যুর সাথে বদলেছে পিচ। কানপুরের গ্রিণ পার্ক স্টেডিয়ামে তৈরি করা হয়েছে কালো মাটির পিচ। রোহিত শর্মার দল এবার কালো মাটির পিচে পরীক্ষা নেবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। আগামিকাল শুক্রবার সকাল ১০টা শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি।
ম্যাচ খেলতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ দল কানপুরে পৌঁছে অনুশীলন করেছে বুধবার। আজ বৃহস্পতিবারও অনুশীলন করছে। কানপুরের গ্রাউন্সকর্মীরা দু’টি পিচ তৈরি করে রেখেছেন। আজকেই সিদ্ধান্ত হবে কোন পিচে খেলা হবে। তাই বাংলাদেশ দল আজকেই জানতে পারবে কানপুরের কোন উইকেটে খেলতে হবে তাদেরকে। গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়ে ছিলেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
এই সফরে বাংলাদেশ দুই ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলছে। কানপুর টেস্ট শেষেই গোয়ালিয়রে শুরু হবে টি-২০ সিরিজ। সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ দল বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক ভারতের কাছে। পাকিস্তানকে সিরিজ হারিয়ে আসা বাংলাদেশ ধাক্কা খায় চেন্নাই টেস্টে। এবার অপেক্ষা কানপুর টেস্টের। নাজমুল হোসেন শান্তর দল শেষ টেস্ট ম্যাচে ভালো করতে চায়। ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছে।
ঘরের মাঠে ভারত এমনিতেই শক্তিশালী দল। আর এই কানপুরেও তাদের রেকর্ড বেশ ভালো। নাজমুলের দলের কানপুরে খেলার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এবারই প্রথম ভারতের উত্তর প্রদেশের এই শহরে খেলতে গেছে টাইগাররা। অচেনা পরিবেশের সঙ্গে কঠিন প্রতিপক্ষ। সবমিলিয়ে কানপুর টেস্টে বাংলাদেশ দলের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন লড়াই। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভূক্ত এই সিরিজে বাংলাদেশ দলের প্রাপ্তি এখনো শুন্য। টাইগাররা তাই কানপুর টেস্টে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছেন।
রেকর্ড বলছে কানপুরে বেশির ভাগ ম্যাচই ‘ড্র’ হয়ে থাকে। অন্তত পক্ষে ভারতের পরিসংখ্যান সেটাই বলছে। এই মাঠে এখন পর্যন্ত স্বাগতিক ভারতীয় দল ২৩টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে মাত্র তিনটিতে হেরেছে স্বাগতিকরা। জয়ের চেয়ে ‘ড্র’র সংখ্যাই বেশি। ৭টি ম্যাচ জেতা ভারত কানপুরের গ্রিণ পার্ক স্টেডিয়ামে ‘ড্র’ করেছে ১৩টি টেস্টে। বুঝাই যাচ্ছে গ্রিণ পার্ক মানেই ‘ড্র’য়ের সম্ভাবনা বেশি। তবে ‘ড্র’ করতে হলেও বাংলাদেশে লড়াই করতে হবে, ভালো খেলতে হবে।
কানুপুরের উইকেট সব সময়ই কালো মাটির হয়ে থাকে। ঐতিহ্যগত ভাবেই গ্রিণ পার্ক স্টেডিয়ামের বৈশিষ্ট্য এটি। আর এরকম মাঠের পিচ সাধারণ নিচু ও ধীরগতির হয়ে থাকে। ‘ড্র’য়ের পরিসংখ্যান বলছে ব্যাটিং সহায়ক পিচ। ব্যাটসম্যানরা তীতু হলে দায়িত্ব নিয়ে খেললে বড় ইনিংস খেলা যায় সহজেই। ম্যাচও বাঁচানো যায়। বাংলাদেশ দলের ব্যাটাররা সেটি বুঝতে পারলেই হলো।
শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয়ের চেয়ে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য লড়াই করবে নিঃসন্দেহে সেটা বলাই যায়। আর সেক্ষেত্রে সহযোগী হতে পারে কানপুরের আবহাওয়া। টেস্টের প্রথম দিনের বেশ কিছু সময় ভেসে যাতে পারে বৃষ্টিতে। আবাহাওয়ার পূর্বাবাস অন্তত সেটিই বলছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানকারী সংস্থা আকুওয়েদার জানিয়েছে, প্রথম দুই দিন বেশি বৃষ্টি হতে পারে। অন্য দিনগুলোতে ক্রমান্বয়ে সেটি কমে আসবে।
গ্রিণ পার্ক স্টেডিয়ামে খুব একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হয় না। দীর্ঘ দিন পর টেস্ট ফিরেছে মাঠটিতে। সামান্য বৃষ্টি হলেই তাই পিচ ও গ্রাউন্ডস হয়ে কর্দমাক্ত। ফলে একটা বদনামও আছে এই মাঠের। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট চলাকালে বৃষ্টি হলে সেই বদনাম আরো বড়বে। ভোগান্তি বাড়বে দুই দলের। ম্যাচের কিছু সময় চলে যাবে বৃষ্টির পেটে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০