স্পোর্টস ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশেষে জয়ের হাসি হাসল পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বিপক্ষে হেরে খাদের কিনারায় চলে যাওয়া বাবর আজমের দল মঙ্গলবার আসরে প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছে। নিউইয়র্কে আজ কানাডার বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নামা কানাডা নির্ধারিত ২০ ওভারে করে ১০৬ রান। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেটের বড় জয়ে সুপার এইটে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান।
আগে ব্যাট করতে নেমে কানাডাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেয়ার নায়ক অ্যারন জনসন। দলের অন্য ব্যাটাররা আসার যাওয়ার মাঝে থাকলেও একাই পাকিস্তানি বোলারদের শাসন করেছেন তিনি। শুরু থেকে চার-ছক্কার মারে আতঙ্কিত করেছেন শাহিন আফ্রিদি-হারিস রউফদের। যে পিচে বল প্রতি রান করাও দুরুহ, সেখানে ৩৯ বলে ৪ ছক্কা ও ৪ চারের মারে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ফিফটি তোলার পর অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। ৪৪ বলে ৫২ রান করে নাসিম শাহর বলে বোল্ড হন তিনি। দলের খাতায় তখন ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান। শেষদিকে সাদ বিন জাফরের ২১ বলে ১০, কালিম সানার ১৪ বলে ১৩ ও দিলন হেইলিগারের ১১ বলে ৯ রানে ভর করে শতরান পার করে কানাডা। পাকিস্তানের পক্ষে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। ২ উইকেট নিলেও ২৬ রান খরচ করেন আরেক পেসার হারিস রউফ।
১০৭ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ধীর শুরু করে পাকিস্তান। সায়েম আইয়ুব আউট হয়ে যান ১২ বলে ৬ করেই। তবে এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান আর বাবর আজম জয়ের ভিত গড়ে দেন পাকিস্তানকে। তারা ৬২ বলে যোগ করেন ৬৩ রান। বাবর ৩৩ বলে ৩৩ করে সাজঘরে ফিরলেও রিজওয়ান নিজের ফিফটি পূরণের সঙ্গে ম্যাচ শেষ করেই আসেন। বল সমান ৫৩ রানের ইনিংসে ২টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। দলের জয়ের জন্য যখন ৩ রান বাকি, ফখর জামান ৬ বলে ৪ করে আউট হন। ২ রানে অপরাজিত থাকেন উসমান খান। এই জয়ে সুপার এইটে যাওয়ার ক্ষীণ আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপে তিন নম্বরে আছে তারা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে নিয়ে ভারত শীর্ষে, যুক্তরাষ্ট্রে দুইয়ে আছে। ৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে পাকিস্তানের চেয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে চারে কানাডা। ২ ম্যাচের দুটিই হেরে তলানিতে আয়ারল্যান্ড। পাকিস্তান শেষ ম্যাচে আইরিশদের মুখোমুখি হবে।
এসএনপিস্পাের্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post