স্পোর্টস ডেস্কঃ নিজের আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ার থামিয়ে দিলেন এদিসন কাভানি। উরুগুয়ের হয়ে আর দেখা যাবে না ৩৭ বছর বয়সী স্ট্রাইকারকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সেই বিবৃতি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘উরুগুয়ে দলের সঙ্গে ভ্রমণটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার।’
এদিকে কাভানির বিদায়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছেন দীর্ঘ দিনের সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। সতীর্থের বিদায় বেলায় আবেগ লুকাতে পারেননি তিনি। সুয়ারেজ বলেন, ‘যখন আমরা একত্রে আমাদের প্রথম গোল উদযাপন করেছি, তখন আমরা কেবল দুটি শিশু যারা আমাদের দেশকে শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলাম। সেই শিশুরা বড় হয়েছে এবং আমাদের নির্বাচনকে সঠিক প্রমাণ করতে অনন্য এবং অপূরণীয় সব জিনিস অনুভব করেছে।’
সুয়ারেজ আরও বলেন, ‘দুঃখ এবং আনন্দের সঙ্গে আমরা সবসময় একই লক্ষ্য চেয়েছিলাম: উরুগুয়ের জয় এবং পতাকাটি ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারা। আমাদের ফুটবল এবং দেশের ইতিহাসে তোমার নাম সর্বদা লেখা থাকবে। একজন উরুগুইয়ান হিসেবে কাভানি তোমাকে সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ জানাই। দলের জন্য তুমি সবকিছু করেছ। আমি তোমাকে সবসময় শুভকামনা জানাই!’
২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে উরুগুয়ের জার্সিতে প্রথমবার মাঠে নামেন কাভানি। এরপর দীর্ঘ পথচলায় দেশের হয়ে খেলেছেন তিনি ১৩৬ ম্যাচ। গোল করেছেন ৫৮টি। দুটিতেই তিনি উরুগুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ক্লাব ফুটবলে পুরোপুরি মনোনিবেশ করবেন, সেটার ইঙ্গিত দিয়েছেন কাভানি, ‘নিঃসন্দেহে (উরুগুয়ে দলের সঙ্গে কাটানো) সেই বছরগুলো অনেক মূল্যবান ছিল। আমার বলার ও মনে রাখার মতো হাজার হাজার জিনিস থাকবে। তবে আজ (কাল) ক্যারিয়ারের নতুন পর্যায়ে নিজেকে সঁপে দিতে চাই এবং যেখানে আমাকে থাকতে হবে, সেখানেই সব উজাড় করে দিতে চাই।’
ক্লাব ফুটবলে কাভানি খেলেছেন পালের্মো, নাপোলি, পিএসজি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ভালেন্সিয়ায়। সেরা সময় কেটেছে তার পিএসজিতে। প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে জিতেছে ৬টি ফরাসি লিগ ও ৫টি ফরাসি কাপসহ মোট ২১টি ট্রফি।পিএসজিতে ৭ বছর কাটিয়ে ২০২০ সালে তিনি পাড়ি জমান মানচেস্টার ইউনাইটেডে। সেখান থেকে ২০২২ সালে ভালেন্সিয়ায় গিয়ে গত বছর ইউরোপিয়ান ফুটবলের পাট চুকিয়ে নাম লেখান আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে।
Discussion about this post