খরুচে তাসকিন, শরিফুল-নাসুমরা উইকেট শুন্য

0
38

স্পোর্টস ডেস্ক:: হারারেতে টাইগার বোলারদের উপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় গেলো। দলের সেরা তারকারা থেকেছেন উইকেট শুন্য। বোলিং বিভাগের ভরসা মুস্তাফিজুর রহমানও ফিফটি করেছেন বল হাতে। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে বল হাতে রান খরুচে এটি তার তৃতীয় ফিফটি।

বাংলাদেশের তাসকিন, শরিফুল, নাসুমরা খরুচে বোলিং করেও থেকেছেন উইকেট শুন্য। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে তাই আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের ‘রেকর্ড’ গড়েছে। বল হাতে বাংলাদেশের বোলাররা মাত্র তিনটি উইকেট নিতে পেরেছেন। দু’টি উইকেট নিলেও মুস্তাফিজ ছিলেন বেশ খরুচে। একটি উইকেট নিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

বোলিং ইনিংস শুরু করা পেসার তাসকিন আহমদ ১০.৫০ গড়ে ৪ ওভারে ৪২ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেট শুন্য। আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম ১১.২৫ গড়ে ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়েও উইকেট শিকার করতে পারেননি। মুস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১২.৫০ গড়ে ৫০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। তিন পেসার হতাশ করেছেন সমর্থকদের।

স্পিনার নাসুমও বেশ খরুচে ছিলেন। ৪ ওভারে ১০.৫০ গড়ে ৪২ রান দিয়েও পাননি কোনো উইকেট। মোসাদ্দেক হোসেন ৭ গড়ে ৩ ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। আরেক অলরাউন্ডার ৬ গড়ে এক ওভারে ৬ রান দিয়েও পাননি কোনো উইকেটের দেখা।

আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের ‘রেকর্ড’ গড়ে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশী বোলারদের তুলোধুনো করে দলটি ২০৫ রান তুলেছে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। এর আগে টাইগারদের বিপক্ষে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ রান ছিলো ৫ উইকেটে ১৯৩। গত বছর অবশ্য এই রান টপকে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ। নুরুল হাসান সোহানের দলকে আজ জিততে হলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ রান করতে হবে। সিকান্দার রাজা আর ওয়েসলে মাধেভেরের ব্যাটে সফরকারী বাংলাদেশের বিপক্ষে

সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে বড় সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। আগে ব্যাট করা দলটি দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ানের ব্যাটে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান তুলেছে। নিষ্প্রাণ বোলিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিং ছিলো সিরিজের প্রথম টি-২০তে সঙ্গী। দুর্দান্ত ব্যাট করা রাজা ও মাধেভেরের ব্যাটে স্বাগতিকরা তুলে নিয়েছে ২০৫ রান। : নুরুল হাসান সোহানদের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে দ্রুত গতিতে রান তুলছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের বোলারদের খুব একটা সুযোগ না দিয়ে স্কোর বড় করে দলটি।

টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ক্রেইগ আরভিন। উদ্বোধনী জুটিতে খুব বড় সংগ্রহ পায়নি দলটি। ১৫ রানেই ফিরে যান ৮ রান করা ওপেনার চাকাবা। দলীয় ৪৩ রানে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক আরভিনকে ফেরান মোসাদ্দেক। দুই চারে ১৮ বলে ২১ রান করেন তিনি।

দলীয় শতরানের আগে তৃতীয় উইকেটটি হারায় স্বাগতিকরা। ৯৯ রানে ইনিংসের ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩৩ রান করা শেন উইলিয়ামসনকে ফেরান মোসাদ্দেক। চতুর্থ উইকেটে জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার রাজা ও ওয়েসেলে ৪৩ বলে ৯১ রানের জুটিতেই স্কোর বড় হয়ে যায় দলটির। বাংলাদেশের বোলাররা তিন উইকেট শিকারের পর আর কোনো উইকেট ফেলতে পারেননি স্বাগতিকদের।

ব্যক্তিগত ৬৭ রান তুলে ওয়েসলে মাধেভেরে স্বেচ্চা প্যাভেলিয়নে ফেরেন। ৪৬ বলের ইনিংস নয়টি চারে সাজিয়েছেন তিনি। আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান সিকান্দার রাজা ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন। মাত্র ২৬ বলের ইনিংসে তিনি সাত চার ও চার ছক্কা হাঁকিয়েছেন। ওয়েসলে মাধেভেরে স্বেচ্চা ফিরে গেলে ব্যাটংয়ে নামা রায়ার্ন বার্ল কোনো বলই মোকাবেলা করতে হয়নি।

এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here