স্পোর্টস ডেস্ক:: সাদা পোশাকে ওপেনার নিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলো পাকিস্তান। এবার সেই অস্বস্তি দূর হয়েছে। আব্দুল্লাহ শফিকের মতো একজন দারুণ ওপেনার পেয়ে খুশি পাকিস্তান। টি-২০ দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকদের নজর কাড়া এই ওপেনার এখন পাকিস্তান দলের ভরসা। ওপেনিং দুশ্চিন্তার দারুণ এক সমাধান।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের ন্যাশনাল টি-২০ কাপে দারুণ ব্যাট করেন। সাউদার্ন পাঞ্জাবের ২০১ রানের টার্গেট তার দল সেন্ট্রাল পাঞ্জাব টপকে যায় সহজেই। ৫৮ বলে ১০২ রান করেন তিনি। এগারোটি চার ও চারটি ছক্কার ইনিংসেই তিনি পিসিবির নির্বাচকদের নজর কাড়েন। এরপরই নির্বাচকেরা তাকে পাকিস্তান টি-২০ দলে ডাকেন। সে বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ৪১ রান করেন। কিন্তুু পরের নিউজিল্যান্ড সিরিজে পরপর ডাক মেরে চলে যান সাইড বেঞ্চে।
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দারুণ পারফর্ম করে আবারো তাকে দলে ফেরাতে বাধ্য করেন নির্বাচকদের। এবার সুযোগ মেলে পাকিস্তানের টেস্ট দলে। এরপর আর পেছনে থাকাতে হয়নি হয়নি এই ওপেনারকে। গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে ওপেনিংয়ে নেমে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন। তাতে ইতিহাস গড়া জয়ও পেয়েছে পাকিস্তান।
চতুর্থ ইনিংসে ৩৪২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ৪০৮ বলের টেস্টের কার্যকরী এক ইনিংসে ১৬০ রানে অপরাজিত থাকেন। তৃতীয় উইকেটে বাবর আজমের সাথে ১০১ রানের জুটির পর চতুর্থ উইকেটেও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে গড়েন ৭১ রানের জুটি। তাতেই পাকিস্তানের জয়ের পথ তৈরি হয়ে যায়।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ডাক মেরে দল থেকে বাদ পড়ার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে ফেরেন দলে। দুই ইনিংসেই ফিফটি করে নিজের জাত চেনান তিনি। রাওয়াল পিন্ডিতে ঐতিহাসিক টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ ব্যাট করেন। ড্র হওয়া ম্যাচটির দ্বিতীয় ইনিংস ১৩৬ রানে থাকেন অপরাজিত। করাচিতে সেঞ্চুরি মিস করেন। দুই ইনিংসেও দারুণ ব্যাট করেন। অজিদের বিপক্ষে দুই সেঞ্চুরির সঙ্গে দুই হাফ সেঞ্চুরিতে নিজেকে স্থায়ী করে নেন। গল টেস্টে খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। পাকিস্তানের ক্রিকেট সাঈদ আনোয়ারের পর পেলো আরেকজন সেরা ওপেনার।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০