নিজস্ব প্রতিবেদক:: বিপিএলে ঢাকায় প্রথম দিন গ্যালারি ভর্তি দর্শক থাকলেও বাকী দিনগুলোতে গ্যালারি ফাঁকাই থেকেছে। তবে সিলেটে টিক তার উল্টো চিত্র। মাঠের লড়াইয়ে স্ট্রাইকার্সরা হেরেই যাচ্ছে, তবুও গ্যালারি ফুল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। বিপিএলের সিলেট পর্বের প্রথম দু’দিনই গ্যালারি ভর্তি ছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। বাইরে হাজার হাজার টিকিট ‘বঞ্চিত’ সমর্থকের মিছিল। একটি টিকিটের জন্য হাহাহাকার।
বিপিএলের ঢাকা পর্বে সিলেট এক ম্যাচ খেলেছিলো। জিততে পারেনি। হার নিয়েই নিজেদের শহরে আসরে দলটি। এবার প্রত্যাশা ছিলো ঘরের মাঠে লড়াইয়ে ফিরবে স্ট্রাইকার্সরা। সেই আশার ফানুসও উড়ে গেছে। সিলেটে নিজেদের দুই ম্যাচে মাঠে নামা স্ট্রাইকার্সরা দু’টিতেই হেরেছে
প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে চার উইকেটে ২০৫ রান করেও জিততে পারেনি স্ট্রাইকার্সরা। রনি তালুকদার ও জাকির হাসানের হাফ সেঞ্চুরি বৃথা যায় অ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরি ও সাইফ হাসানের ৮০ রানের নান্দনিক ইনিংসে। বোলারদের ব্যর্থতায় বড় রান করেও জয়ে ফিরতে পারেনি স্ট্রাইকার্সরা।
সিলেট পর্বের বিরতির আগে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে এবার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে আগে ব্যাট করা সিলেট অলআউট মাত্র ১২৫ রানে। পূঁজি মাত্র অল্প। বোলাররা তাই ম্যাচ জমাতে পারেননি। ইনিংসের প্রথম বলে তামিম ইকবালকে তুলে নিয়েও ৫৭ বল আগেই, সাত উইকেটের বড় হার। কাইল মায়ার্সের হাফ সেঞ্চুরি ও তাওহীদ হৃদয়ের রানে ফেরার দিনে পাত্তাই পাননি সিলেটের বোলাররা।
নিজ শহরের ফ্র্যাঞ্চাইজির এমন দুর্দশার দিনেও পাশে দাঁড়াচ্ছেন সিলেটের সমর্থকেরা। ম্যাচ শেষ হওয়া অব্দী সিলেট সিলেট চিৎকারে মাতিয়ে রাখছেন পুরো গ্যালারি। স্বাগতিক সিলেটের ক্রিকেটাররা হোম ভেন্যুর সুবিধাও কাজে লাগাতে পারছেন না। দর্শকদের এমন উচ্চ্বাস, সমর্থনেও যেনো উত্তেজনা নেই সিলেটের ক্রিকেটার। তিন ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ দেখল না সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকা ও সিলেট পর্ব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলা আরিফুল হকের দল মঙ্গলবার হেরেছে বড় ব্যবধানে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক সিলেটকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল ফরচুন বরিশাল।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ফেরেন বরিশালের তামিম ইকবাল। কর্নওয়ালের বলে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে টিকতে দেন নি সিলেটের পেসার তানজিম হাসান সাকিব। দলীয় ৬ রানে ফেরেন শান্ত। দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বরিশালের হাল ধরেন কাইল মেয়ার্স ও তাওহীদ হৃদইয়। দুজনে গড়েন ১১৬ রানের জুটি। মেয়ার্স ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। হৃদয় খেলেন ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস।৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রান করে ফেরেন হৃদয়। মেয়ার্স অপরাজিত থাকেন ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৩১ বলে ৫৯ রানে। সিলেটের হয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই হোঁচট খায় সিলেট। ওভারের তৃতীয় বলেই কাইল মেয়ার্সকে বড় শট খেলতে গিয়ে তামিমের হাতে ধরা পড়েন রনি তালুকদার। কোন রান না করেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর টিকতে পারেন নি রাকিম কর্নওয়ালও। একাদশে সুযোগ পাওয়া এই ক্যারিবিয়ান ফেরেন ১২ বলে ১৮ রান করেই।ইনিংস বড় করতে পারেন নি জর্জ মানজিও। জাকির হাসান থিতু হয়েছিলেন ঠিকই, তবে ২৬ বল খেলে ২৫ রানের বেশি করতে পারেন নি তিনি। জাকের আলি ৪ বল খেলে মাত্র এক রান করেই সাজঘরে ফেরেন। তানজিম হাসান সাকিব ফেরার আগে করেন ৫ বলে ১ রান। ৮৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দল যখ খাদের কিনারায়, ঠিক তখনই ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন আরিফুল হক। ২৯ বলে ৩৬ রান করে ফাহিম আশরাফের বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতেই ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট। বরিশালের হয়ে রিশাদ হোসেন ও জাহানদাদ খান নেন ৩টি করে উইকেট। এ ছাড়া ফাহিম আশরাফ ২টি, শাহিন আফ্রিদি ও কাইল মেয়ার্স নেন একটি করে উইকেট।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০০০