নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঘরের মাঠে আরও একটি শোচনীয় পরাজয় দেখল দলটি। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
আসরে চতুর্থ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল চট্টলার দল। অপরদিকে এখনও জয়ের মুখ না দেখা সিলেট টানা চার হারে একেবারে তলানিতে অবস্থান করছে টেবিলের।
সিলেটের দেওয়া ১৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করতে থাকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে ৩.১ ওভার স্থায়ী ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি থামে আভিষ্কা ফার্নান্দোর বিদায়ে। ১২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৭ রান করে আউট হন আভিষ্কা।
এরপর অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার টম ব্রুসের সাথে দারুণ এক জুটি গড়েন ওপেনার তানজিদ তামিম। দুজনের ৮৯ রানের জুটি ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় সিলেটকে। ফিফটি পূরণ করেই আউট হয়ে ফিরেন তামিম, ভাঙে সেই জুটি। ৪০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫০ রান করে হ্যারি টেক্টরের বলে বোল্ড আউট হন তামিম।
তবে এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি চট্টগ্রাম। শাহদাঁত হোসেন দিপুকে সাথে নিয়ে একেবারে ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন টম ব্রুস। ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় চট্টলার দল। প্রথমবারের মতো বিপিএল মাতাতে এসে প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করেছেন ব্রুস। ৪৪ বলে ৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ব্রুস। ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহদাত দিপু।
সিলেটের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব ও হ্যারি টেক্টর ১টি করে উইকেট লাভ করেন। বোলিং করতে আসলেও এক ওভারের বেশি করেননি অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তাজা। সেই ওভারে ১৪ রান খরচায় থেকেছেন উইকেটশূন্য।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আরও একবার আশাহত ব্যাটিং দেখা মিলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের। ঘরের মাঠে প্রথম জয়ের খুঁজে থাকা দলটি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের মাঝারি মানের সংগ্রহ পায়।
টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় স্ট্রাইকার্সরা। প্রথম দুই ওভারে ফিরে যান দুই দেশি ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। আসরে চার ম্যাচ হয়ে গেলেও, তাদের ব্যাট হাসেনি খুব একটা।
এরপর দলের হাল ধরেন একাদশে ফেরা হ্যারি টেক্টর ও জাকির হাসান। দুজনের ৫৭ রানের জুটি দলকে স্বস্তি দেয় অনেকটাই। তবে ভালো খেলতে থাকা জাকির ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর হ্যারি টেক্টরের সাথে উইকেটে এসে জুটি বাঁধেন রায়ান বার্ল। ৪২ রানের সেই জুটি ধীর গতির ছিল অনেকটা।
ফিফটি পূরণ করার আগ মূহুর্তে ৪২ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান করে আউট হন টেক্টর। রায়ান বার্লের ২৯ বলে ৩৪ ও একাদশে সুযোগ পাওয়া আরিফুল হকের ১২ বলে ১৭ রানের ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজি পায় সিলেট।
চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় একাই ৩টি উইকেট নেন বিলাল খান।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post