নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বড় হার দিয়ে বিপিএলের সিলেট পর্ব শুরু হয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। হারাতে হয়েছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান। তবে একদিন পরই ঘরের মাঠে বড় জয় পেয়েছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল। শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে বড় জয়ের সুবাদে ১৪ পয়েন্ট হয়ে গেলো সিলেট স্ট্রাইকার্সের। দুইয়ে থাকা সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। আসরে ৯ ম্যাচে ৭ জয় সিলেটের নামের পাশে। চট্টগ্রামের বিপক্ষে বড় জয়ের ভিত গড়ে দেন সিলেটের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনে নামা মুশফিকুর রহিমও ছিলেন দুর্দান্ত। একাদশে সুযোগ পাওয়া রায়ান বার্ল ছিলেন আরো বিধ্বংসী।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৭৪ রান করে চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে ১২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় মুশফিক-জাকিররা। রান তাড়ায় শুরু থেকেই মারকুটে ব্যাটিং করেন শান্ত। এই বাঁহাতির দারুণ ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৫৫ রান তোলে সিলেট। পাওয়ার প্লে শেষে সিলেটের ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন বিজয়াকান্ত। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তারই হাতে ক্যাচ দেন ১৮ বলে ১৫ রান করা তৌহিদ হৃদয়।
৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন মুশফিক। অবশ্য দুজনে মিলে ৩৭ রান যোগ করার পর ফিরে যান শান্ত। নিহাদুজ্জামানের বলে স্টাম্পিং হয়েছেন ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলা শান্ত। ৬ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এই ওপেনার। শান্ত ফিরলেও সিলেটের রানের চাকা সচল রাখেন বার্ল। সিলেটের জার্সিতে বিপিএল অভিষেক ম্যাচে মাত্র ১৬ বলে ৪১ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ৩ ছক্কা। মুশফিকের ৪১ রানের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ১ ছক্কা। ২৬ বল খেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি ওপেনার উসমান গোল্ডেন ডাক মারলেও আরেক ওপেনার মেহেদি মারুফ ৪০ বলে ৫২ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন। তিনি সাতটি চার ও দুটি ছক্কা তোলেন। আফিফ হোসেন তিনে নেমে খেলেন ২৭ বলে পাঁচ চারে ৩৪ রানের ইনিংস। দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে সেরা ব্যাটিং করেছেন চট্টগ্রামের নেতৃত্ব দেওয়া শুভাগত হোম। তিনি ২৯ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৫৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন।
বল হাতে দারুণ শুরু করলেও মাশরাফী শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে দেন ৩৬ রান। ইমাদ ওয়াসিম ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। মোহাম্মদ আমির ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করেন।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/১১০
Discussion about this post