নিজস্ব প্রতিবেদকঃ থামল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জয়যাত্রা। উড়তে থাকা দলটিকে মাটিতে নামিয়ে এক ম্যাচ পরই জয়ে ফিরল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে আসরে নিজেদের তৃতীয় জয়ের দেখা পেয়েছে কুমিল্লা। অপরদিকে টানা তিন জয়ের পর আসরে দ্বিতীয় হারের দেখা পেল চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের দেওয়া মাত্র ৭৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৪ রানের মাথায় ফেরেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। আরও একবার ব্যর্থ হয়েছেন ডানহাতি এই তারকা। এদিন ৯ বল খেলে মাত্র ২ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। আগের ম্যাচে ফিফটির দেখা পেলেও, এই ম্যাচে ব্যর্থ হন আরেক দেশি মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দলীয় ২৫ রানের মাথায় তিনি ফেরেন মাত্র ৫ রান করে।
পাওয়ার প্লে’তে দুই উইকেট হারিয়ে বসা দলটির হয়ে এরপর ৪১ রানের এক জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও তাওহীদ হৃদয়। ১৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রানের ক্যামিও খেলে হৃদয় বিদায় নিলে ভাঙে সেই জুটি। এরপর রেইমন রেইফারকে সাথে নিয়ে ১০.৪ ওভার হাতে রেখেই একেবারে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন রিজওয়ান। ওয়ানডেসুলভ ব্যাটিংয়ে তিনি অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করে। রেইফার ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
চট্টগ্রামের হয়ে আল আমিন হোসেন, বিলাল খান ও জিয়াউর রহমান ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে চলতি বিপিএলে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার স্কোর গড়ে অলআউট হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাত্র ৭২ রানে গুঁটিয়ে যায় চট্টলার দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ডাক মেরে ফিরেছেন ইনফর্ম ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।
এরপর ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। কোনো ব্যাটারই ক্রিজে ভালো করে দাঁড়াতে পারছিলেন না। টম ব্রুস এক প্রান্তে কিছুটা দাঁড়িয়েছিলেন। তবে বাকিরা চরম ব্যর্থ হয়েছেন। যার ফলে শেষ পর্যন্ত ১৬.৩ ওভারে মাত্র ৭২ রানে অলআউট হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
দলের পক্ষে ২০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ব্রুস। এর বাইরে একজন মাত্র ব্যাটার ব্যক্তিগত রানের খাতা কোনোমতে দুই অঙ্কে নিতে পেরেছেন। বাকিরা সবাই ব্যর্থ। পাঁচ জন ব্যাটারই কোনো রান না করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আরও একবার দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তানভীর ইসলাম ও আলিস আল ইসলাম। ৪ ওভারে ১ মেইডেনসহ মাত্র ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এক মেইডেনসহ ১৪ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেছেন আলিস।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post