স্পোর্টস ডেস্ক:: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট যথা সময়ে আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ইতিমধ্যে প্লেয়ার্স ড্রাফটের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর হবে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। পুরনো চার ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে এবার নতুন করে তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি যোগ হচ্ছে। পুরনো মালিকদের তত্ত্বাবধানে ঢাকা, কুমিল্লার মতো দলগুলো নেই এবারের বিপিএলে।
তবে এবারের বিপিএলের জন্য বড় খবর হলো বিপিএলের সবচেয়ে সফল কোচ সালাউদ্দিন, খালেদ মাহমুদ সুজন ও সোহেল ইসলামরা কোচের দায়িত্বে থাকছেন না। চড়া পারিশ্রমিকের কারণে কোনো দলই তাদের কিনতে আগ্রহ দেখায়নি। ফলে এবারের বিপিএলে দর্শক হয়েই থাকতে হতে পারে সুজন-সালাউদ্দিনদের।
বিপিএল মানেই কোচের ভূমিকায় সালাউদ্দিন, খালেদ মাহমুদ সুজরান। বড় বড় ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কোচের দায়িত্বে থাকতেন তারা। সবসময়ই সালাউদ্দিন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দায়িত্বে থাকতেন। বিপিএলের সবচেয়ে সফল দলটি এবার পুরনো মালিকদের অধীনে নেই।
সরকারের পতনে পর কুমিল্লার মালিক নাফিসা কামাল দেশ ছেড়েছেন। ফলে বিপিএলে তিনি বা তার দল থাকছে না। নতুন মালিকের অধীনে আসতে পারে কুমিল্লা। পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিতে ২০ লাখের বেশি পারিশ্রমিক পেতেন সালাউদ্দিন। এতো চড়া পারিশ্রমিকে তাকে কেউ এবার কোচ করতে আগ্রহ দেখায়নি।
খালেদ মাহমুদ সুজনেরও একই অবস্থা। ঢাকার কোচের দায়িত্বে থাকতেন তিনি। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকাতো বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপের অধীনে। নাজমুল হাসান পাপনও দেশান্তরীণ। তার কোম্পানী যে এবার বিপিএলে থাকছে না সেটাও নিশ্চিত। পারিশ্রমিক, বোনাস, দৈনিক ভাতা মিলিয়ে বিপিএলে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে ২০ লাখের বেশি টাকা পেতেন সুজন। এতাে চড়া পারিশ্রমিকে তাকেও কেউ দায়িত্বে নিতে চাইছে না।
সোহেল ইসলামের ব্যাপারটা ভিন্ন। তিনি ক্রিকেট বোর্ডের গেইম ডেভেলপমেন্টের কোচ। বিপিএলে কোচিং করাতে হলে তার অনুমতি লাগবে বোর্ডের। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তিনি বিপিএল বা ডিপিএলের যে কোনো একটাতে কোচিংয়ের সুযোগ পাবেন। তাকে শেষ পর্যন্ত বোর্ড অনুমতি নাও দিতে পারে। সব মিলিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে দামি তিন কোচকে এবার বিপিএলে ডাগ আউটে দেখা নাও যেতে পারে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/.নিপ্র/ডেস্ক/০০