নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চা-বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে। রিপন মণ্ডলের করা ৫৫তম ওভারের পঞ্চম বলে তেজনারায়ণ চন্দরপলের স্ট্রেইট ড্রাইভে বাউন্ডারি। সাথে সাথেই পঞ্চাশ পূরণের তৃপ্তির হাসি। অথচ এই পঞ্চাশ পূরণ করতে গিয়েই রীতিমতো যুদ্ধ করছিলেন।
মাটি কামড়ানো ব্যাটিংয়ে পড়েছিলেন উইকেটে। অনেক আগেই ৪০’র কোটা পার করলেও, ফিফটির দেখা পাচ্ছিলেন না চন্দরপল। শেষ পর্যন্ত ফিফটি হাঁকিয়েছেন। চা-বিরতিতে গেছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেই।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম চার দিনের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে প্রথম দিনে চা-বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত উইন্ডিজের সবশেষ সংগ্রহ ৫৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান। চন্দরপল ৫২ ও অ্যালিক স্টিভেন ১ রান করে অপরাজিত আছেন।
এই সেশনেই বাংলাদেশ তাদের দুই উইকেট তুলে নিয়েছে। সেটা ম্যাকেঞ্জি ও রেইফারের মতো ব্যাটারের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ধীরে-স্থিরভাবেই ব্যাটিং করছিল অতিথিরা। শুরুর দিকে বাংলাদেশের দুই পেসার মুশফিক হাসান ও রিপন মণ্ডল চাপে রাখার চেষ্টা করলেও, উইন্ডিজের দুই ওপেনার ত্যাজনারায়ণ চন্দরপল ও ক্রিক ম্যাকেঞ্জি ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।
দুজনের জুটি রান বাড়িয়েই যাচ্ছিল। বিশেষ করে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন ক্রিক ম্যাকেঞ্জি। এই বাঁহাতি ওপেনার ফিফটি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথে বেশ ভালোভাবেই ছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেটি হতে দেননি সাইফ হাসান। ক্রমেই আক্রমণাত্বক হয়ে উঠা ম্যাকেঞ্জিকে ফিরিয়ে অবশেষে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন এই স্পিনার। লং অফে নাঈম হাসানের হাতে ম্যাকেঞ্জিকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন।
১৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ম্যাকেঞ্জির বিদায়ে। ব্যক্তিগত ৮৬ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন এই বাঁহাতি। ১২৪ বলের ইনিংসে ১১ বাউন্ডারি ও ১ ছয় হাঁকিয়েছেন ম্যাকেঞ্জি। এরপর উইকেটে আসেন রেইমন রেইফার। উইকেটে এসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক ছিলেন এই ব্যাটার।
কিন্তু অতি আক্রমণাত্বক হতে গিয়ে ৫২তম ওভারে আউট হয়ে ফিরেন রেইফারও। মুশফিক হাসানের পেসে কুপোকাত হয়ে উইকেটের পেছনে জাকের আলি অনিককে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি। ৪২ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে আউট হন রেইফার।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা