নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কোনো কিছুতেই যেন হচ্ছে না খুলনা টাইগার্সের। দারুণভাবে খেলে লাগামে থাকা ম্যাচগুলো হাতছাড়া করছে রূপসা পাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এবার ২১০ রান করেও জিততে পারলো না খুলনা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে হেরেছে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
৪২৩ রানের ম্যাচে দলকে জয় এনে দেওয়ার কারিগর জনসন চার্লস। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। ৫৩ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান এই ক্যারিবিয়ান তারকা। বিপিএলে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। চার্লসের ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ১০ বল হাতে রেখেই রেকর্ড রান তাড়া করে কুমিল্লা। ২১১ রান তাড়া করে জেতা বিপিএলে এখন নতুন রেকর্ড।
এই রান তাড়া করতে গিয়ে ইনিংসের প্রথম ওভারে হাতে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। এরপর উইকেটে এসে কিছু করতে পারেননি অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তবে এরপরই মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনসন চার্লস দারুণ এক জুটি গড়েন। ১২২ রানের ঝড়ো সেই জুটিই দলটির জয়ের ভিত গড়ে দেয়।
পরবর্তীতে খুশদিল শাহের সাথে ৫৯ রানের জুটি গড়েন চার্লস। দুজনের জুটি ভাঙলেও, জয় পেতে বেগ পোহাতে হয়নি কুমিল্লাকে। চার্লস এদিন ছক্কা বৃষ্টি করেন। নাহিদুল ইসলামকে এক ওভারেই ৪টি বিশাল ছক্কা হাঁকান। সব মিলিয়ে ৫৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১১ ছক্কায় ১০৭ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন। ৩৯ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কার মারে ৭৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন রিজওয়ান।
খুলনার হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। আমাদ বাট ও শফিকুল ইসলামও ১টি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়ে খুলনা টাইগার্স দলের সংগ্রহ ছিল ২১০ রান। একেবারে কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি মিস করেছেন খুলনার দুই তারকা ব্যাটার তামিম ইকবাল ও শাই হোপ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারায় খুলনা। তবে এরপরই ১৮৪ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন তামিম ও হোপ।
দুজনের সেই জুটিতেই বিশাল রানের পুঁজি পায় খুলনা। ইনিংসের একেবারে শেষ ওভারে তামিমের বিদায়ে ভাঙে জুটি। তবে এর আগে ৬১ বলে ১১ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কার মারে ৯৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তামিম। ড্যাশিং এই ওপেনার বিদায় নিলেও, হোপ অপরাজিত থাকেন।
তবে এই ক্যারিবিয়ানও সেঞ্চুরি হাঁকাতে পারেননি। ৫৫ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ৭ ছক্কার মারে খেলেন ৯১ রানের ইনিংস। শেষ ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ বলে ১টি করে চার ও ছয়ের মারে ১২ রানের ক্যামিও খেলেন আজম খান।
কুমিল্লার হয়ে সবাই এদিন খরুচে ছিলেন। তবে ১টি করে উইকেট লাভ করেন নাসিম শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/সা
Discussion about this post