স্পোর্টস ডেস্ক:: তরুণ পেসার শহীদুল ইসলামের কোনো বাজে উদ্দেশ্যে ছিলো না। ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসায় এই পেসারকে ১০ মাস নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তবে তাতে তার কোনো দোষ ছিলো না। মূলত ব্যক্তিগত চিকিৎসকের ‘ভুল পরামর্শ’ এই সবর্নাশ ঘটেছে এই তারুণ ক্রিকেটারের।
ব্যক্তিগত সমস্যায় ভুগছিলেন শহীদুল। তাই জানাননি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল বিভাগকে। ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করেন তিনি। আর তাতেই তার দেহে প্রবেশ করে নিষিদ্ধ বস্তুুর উপস্থিতি। গত মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালে ডোপ টেস্টের জন্য নমুনা দিয়ে ছিলেন এই পেসার।
আইসিসির পরীক্ষাগারে নমুনায় পরীক্ষায় নিষিদ্ধ বস্তুুর উপস্থিতি মেলে শহীদুলের নমুনায়। এরপরই বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাকে সব ধরণের ক্রিকেটে ১০ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মেডিকেল বিভাগ একটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই পেসার বিসিবির মেডিকেল বিভাগকে না জানিয়ে নিজের ব্যক্তিগ সমস্যায় ব্যক্তিগত ডক্টরের পরামর্শে ঔষধ গ্রহণ করে বিপদ ডেকে এনেছেন।
বিসিবির মেডিকেল বিভাগ গণমাধ্যমটিকে বলে ‘বিষয়টা হলো শহীদুলের একটা ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল। সেটার জন্য তিনি ব্যক্তিগত চিকিৎসকের
পরামর্শে কিছু ওষধ নিয়েছিলেন। যে চিকিৎসকের কাছ থেকে ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য ঔষধ নিচ্ছিলেন, তিনি নিশ্চিত করে ছিলেন এই ওষধে কোনো সমস্যা হবে না। শহীদুলও আমাদের কিছু বলেননি।’
শাস্তি দেওয়া আইসিসিও জানিয়েছে, শহীদুল অনিচ্ছায় এই কাণ্ড করেছেন। তারা জানায়, ঔষধ আকারে এই নিষিদ্ধ বস্তুু অনিচ্ছাকৃতভাবে শরীরে প্রবেশ করান তিনি। সাধারণত চিকিৎসকরা এটা থেরাপির জন্য ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এই পেসারও জানিয়েছেন, পারফরম্যান্স বর্ধক হিসেবে এটা তিনি ব্যবহার করেননি।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এই তরুণ একটি ম্যাচ খেলেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিতে একটি উইকেটও শিকার করেন তিনি। তবে এবার নিজের ব্যক্তিগত চিকিৎসকের ভুলে তাকে ১০ মাস থাকতে হবে ক্রিকেটের বাইরে।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০