স্পোর্টস ডেস্ক:: বাছাই পর্ব পেরিয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছিলো ইকুয়েডর। কিন্তুু চিলি তাদের বিরুদ্ধে এক খেলোয়াড়ের জন্মসনদ জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ফিফার কাছে। ফলে ইকুয়েডরের বিশ্বকাপ খেলা কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে যায়।
ফিফার কাছে ইকুয়েডরের বিপক্ষে চিলির অভিযোগ প্রমাণিত হলে দলটি বিশ্বকাপ থেকে বাতিল হয়ে যেতো। তবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা চিলির অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। কাতার বিশ্বকাপ খেলতে আপাতত আর কোনো বাধা থাকলো না ইকুয়েডরের। তবে চিলির এখনো আপীলের সুযোগ রয়েছে।
চিলি অভিযোগ করেছিলো, ইকুয়েডরের ফুটবলার বায়রন কাস্তিলোর বিপক্ষে। তাদের দাবি ছিলো, এই ফুটবলারের জন্মসনদ জালিয়াতি করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইকুয়েডরের আটটি ম্যাচের ফলাফল বাতিল হয়ে যেতো। প্রতিপক্ষ দলগুলো পেতো পয়েন্ট। ফলে ইকুয়েডর হয়ে যেতো পয়েন্ট শূন্য।
তবে ফিফা সেই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে। এক বিবৃতিতে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘সব পক্ষের তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর ফিফার শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটি ইকুয়েডররের িবরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত বদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার বায়রন কাস্তিলো ভূয়া জন্ম সনদ দেখিয়ে বাছাইপর্ব খেলার কারণে গত মাসে ফিফার কাছে চিলি ফুটবল ফেডারেশন ইকুয়েডরের এই ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করে। বিষয়টি তদন্ত করে এটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।
চিলির আইনজীবি কারলেজ্জো অভিযোগ করে বলেন, ‘কাস্তিলোর জন্ম কলম্বিয়ার তুমাকোয়, তার মা-বাবার বিয়ে তুমাকোয়। বায়রনের জন্মও তুমাকোয়। ১৯৯৮ সালে তার জন্ম, কিন্তুু নথিভুক্ত করা হয় ২০১২ সালে। আমরা এখানে এসেছি কারণ নিজেদের যুক্তি ও প্রম্যাণা ন্যায্য এবং পরিস্কার ভাব তুলে ধরতে চাই।’ তবে ফিফা খারিজ করে দেওয়ায় আপাতত আর সেই সুযোগ নেই তাদের।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/০০