নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে পা রাখা জেমি সিডন্সের চাকরির মেয়াদ ছিল চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত। চাকরির মেয়াদ শেষ হতে এখনও ১২ দিন বাকি। তবে এর আগেই তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চলে গেছেন। আপাতত বিসিবির সঙ্গে কোনো চুক্তিতে থাকছেন না তিনি। তবে বিসিবির প্রয়োজনে আবারও বাংলাদেশে ফিরতে পারেন সিডন্স। এমনটাই জানা গেছে।
শনিবার বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘জেমি সিডন্স এখন আর আমাদের সঙ্গে নেই। প্রোগ্রাম যখন থাকে তখন মনে হয় তাকে ডাকা হয়। এভাবেই তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বা মাসিক চুক্তি হয়েছে কিনা আমি জানি না। আমি যতটুকু জানি বছরে কতদিনের জন্য কাজ করবে এই ব্যাপারে চুক্তি আছে।’
এর আগে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগেই নিজের পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই কোচ। বিশ্বকাপ শেষে বাংলাদেশ দল দেশে ফিরে এলেও আসেননি ডোনাল্ড। সরাসরি নিজ দেশে উড়াল দিয়েছিলেন তিনি। এদিকে চান্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেয়ার পর জাতীয় দল থেকে সরিয়ে দেয়া হয় সিডন্সকে। ভবিষ্যত তারকা তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ ‘এ’ দল ও বাংলাদেশ টাইগার্সের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তাকে। এইচপির ব্যাটিং পরামর্শকও ছিলেন সিডন্স।
সিডন্স ২০০৭ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিনি পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ দ্বিতীয় দফায় গেল বছর ঢাকায় আসেন সিডন্স। নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল-মুশফিকুর রহিমদের ব্যাটিং কোচের দায়িত্বভার। তবে বোর্ডের তরফে তখন থেকেই আভাস মিলছিল, সিডন্সকে এইচপি, বাংলা টাইগার্স এবং ‘এ’ দলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিতে চায় তারা। কাজও করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত নতুন চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোয় বিদায় নিলেন তিনি।
এসএনপিস্পোর্টসটোয়েন্টিফোরডটকম/নিপ্র/ডেস্ক/১১০
Discussion about this post